রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, বাম-কংগ্রেস জোট নামলেও এবার এরাজ্যে লড়াই মূলতঃ সীমাবদ্ধ থাকতে পারে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যেই। ২০১৪-য় নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক রাজ্য ঝুলিতে পুরলেও পশ্চিমবঙ্গ অধরাই রয়ে গিয়েছে বিজেপির কাছে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে এক লাফে ১৮টি আসন জিতে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। অমিত শাহ থেকে শুরু করে সদ্য তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী এবার ২০০-র বেশি আসন পাওয়ার দাবি ঠুকছেন। সম্প্রতি তৃণমূলে শুরু হওয়া দলত্যাগের পর্ব গেরুয়া শিবিরকে আশাবাদী করে তুলেছে। তাঁদের আশা, ২০১১-য় হওয়া পালাবদলের পালাবদল ঘটবে এবার।
অন্যদিকে, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উন্নয়নের সুফল পাওয়া রাজ্যবাসী বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করবেন। এই প্রেক্ষাপটে শিবসেনার বাংলার ভোটে নামার সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে চলছে,তারা কি বিজেপির হিন্দু ভোটব্য়াঙ্কে থাবা বসাতে পারে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির সঙ্গে শিবসেনার সম্পর্ক বর্তমানে আদায়, কাঁচকলায়। কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপির সবচেয়ে পুরানো শরিকদের অন্যতম শিবসেনা নোটবন্দি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ কিছুদিন দিনেরাতে উঠতে বসতে বিজেপি, মোদিকে আক্রমণ করার পর এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, ঠিক যেমন সম্প্রতি বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে শিরোমণি অকালি দল। এমনকী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপির সঙ্গে জোট করে সরকার চালাচ্ছে শিবসেনা।