তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া :  ভোট প্রচারে ( Loksabha Poll )  বেরিয়ে প্রাক্তন স্বামী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের ( Soumitra Khan ) সঙ্গে অসুরের তুলনা করলেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল ( Sujata Mondal )। শুক্রবার স্থানীয় ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেন তিনি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ সারেন।


লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভায় প্রাক্তন স্বামী স্ত্রীর লড়াই নিয়ে ক্রমেই চড়ছে পারদ। আক্রমণ, পাল্টা-আক্রমণ রাজনৈতিক গণ্ডি ছাড়িয়ে ঢুকে পড়েছে ব্যক্তিগত পরিসরে।  এককালের দম্পতি সুজাতা-সৌমিত্র একে অপরকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। তিক্ততা এতটাই যে দুজনের মুখেই  বিতর্কিত মন্তব্য লেগেই আছে।


বৃহস্পতিবার প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা প্রাক্তন স্বামী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের উদ্দেশে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন। এদিন তিনি বিষ্ণুপুরের ষাঁড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেন। কথা বলেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। প্রচার শেষে সুজাতার মন্তব্য, ষাঁড়েশ্বর বাবার কাছে বিজেপি প্রার্থীর হাত থেকে বিষ্ণুপুরকে মুক্তি দেওয়ার প্রার্থনা করেছেন। এখানেই শেষ নয়। প্রচার শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুজাতা বলেন ষাঁড়েশ্বর বাবার কাছে প্রার্থনা করেছেন, 'বিষ্ণুপুর লোকসভার যিনি বিজেপি প্রার্থী, সেই অসুরের হাত থেকে সেই রাক্ষসের হাত থেকে বিষ্ণুপুর লোকসভাকে মুক্তি দিক। বিষ্ণুপুর লোকসভাকে একজন অপদার্থ জনপ্রতিনিধি হাত থেকে মুক্তি দিক এবং বিষ্ণুপুর লোকসভার মানুষের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে সুজাতা মণ্ডলকে জিতিয়ে মানুষের সেবাদাসী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিন।'


আর এর উত্তরে প্রাক্তন স্ত্রী, তৃণমূল প্রার্থী সুজাতাকে নিয়ে সৌমিত্রর দাবি , ' ওঁর মাথার ঠিক নেই, পাগলকে নিয়ে বেশি কিছু বলছি না।'  


বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অমরনাথ শাখা জানান, 'কে অসুর আর কে রাক্ষসী তা ভোটের পরেই বোঝা যাবে। এই তৃণমূলকে দেখলেই মানুষ বলে চোর তাই চোরের একজন প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছে মানুষ দেখলেই বলছে চোর যাচ্ছে। '


এর আগেও একে অপরের বিরুদ্ধে বাছা-বাছা বিশেষণে আক্রমণ করেছেন সুজাতা ও সৌমিত্র। অথচ এই সৌমিত্র খাঁ-ই গত লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর ক্রেডিট দিয়েছিলেন সুজাতাকে। তৎকালীন স্ত্রী সুজাতার উপর ভরসা করেই বিষ্ণুপুরের বৈতরণী পার হয়েছিলেন সৌমিত্র। তারপর কাল অতিবাহিত হয়েছে....তারপর 'গেছে জীবন দুদিকে দুজনারই' ।  


এক সময় দুজনের বিচ্ছেদ নিয়ে সরগরম ছিল বঙ্গ রাজনীতি। আর এখন বিচ্ছিন্ন স্বামী-স্ত্রী ভোটের লড়াইয়ে। আর তা নিয়েই এখন পারদ চড়ছে বিষ্ণুপুরের। 


আরও পড়ুন :


নন্দীগ্রামে পা-ভাঙা থেকে মাথার গভীর ক্ষত, একের পর এক চোটে জর্জরিত মুখ্যমন্ত্রী