সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) অংশ নিতে পারবেন 'শিক্ষাবন্ধুরা' (Shiksha Bondhu)। 'প্যারা-টিচাররা পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ পেলে শিক্ষাবন্ধুরা পাবেন না কেন?' প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে পারবেন 'শিক্ষাবন্ধুরা', জানাল আদালত। আমাদের কোনও আপত্তি নেই, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।


সুরক্ষায় সতর্ক আদালত 


শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশই নয়,  ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য সরকারের ঘোষিত সার্কুলারের বাইরে কোনও কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে করানো যাবে না। স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত। 


শেষ অবধি রাজ্য় পুলিশে সম্পূর্ণ আস্থা রাখল না কলকাতা হাইকোর্ট। যে দাবি বিরোধীরা দীর্ঘদিন করে আসছে, সেই দাবিকেই কার্যত মান্য়তা দিয়ে স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও একাধিক নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা জানিয়েছে রাজ্য সরকারের ঘোষিত সার্কুলারের বাইরে কোনও কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে করানো যাবে না। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না সেখানে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার। একমাত্র যদি কোনও উপায় না থাকে, তবেই ভোটে চুক্তিভিত্তিক কর্মী ব্যবহার করা যাবে। এদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে না।


এছাড়াও প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে সব বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি লাগানো যাবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সমস্ত ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওপরেই ছেড়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই বহাল রাখে তারা। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে দিকে দিকে গণ্ডগোলের প্রেক্ষিতে আদালতের মঙ্গলবারের রায়ের পর রাজ্য় নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে বিরোধী শিবির। 


আরও পড়ুন: Benefits of Peanuts: ক্য়ান্সার প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে উপকারী বাদাম, কখন খাবেন?


অন্যদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পঞ্চম দিনেও দিকে দিকে জ্বলছে আগুন। একাধিক স্থানে বোমা, গুলি, পাথরবৃষ্টি। মনোনয়ন জমা দিতে না পারার অভিযোগে দলে দলে নির্বাচন কমিশনের অফিসে উপস্থিত হচ্ছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। 


এবিপি আনন্দ এখন টেলিগ্রামেও, ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
https://t.me/abpanandaofficial