কলকাতা: জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি সোহম চক্রবর্তী। চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী। সোহমের সোয়াইন ফ্লু টেস্ট পজিটিভ। তবে কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ। এখনও জ্বর রয়েছে, সাড়া দিচ্ছেন চিকিৎসায়। এদিকে কাল চণ্ডীপুরে সোহমের সমর্থনে সভা অভিষেকের।


আজ শনিবার দুপুরে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানালেন নিজের স্বাস্থ্যের কথা। সেই পোস্টে সবাইকে আশ্বস্ত করে সোহম লেখেন, ‘উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আগামীকালই দেখা হবে আবার সকলের সাথে চণ্ডীপুরের মাটিতে।‘ ফেসবুকে নিজের ছবি পোস্ট করে আজ সোহম লেখেন, ‘আমার শুভানুধ্যায়ীরা, যারা আমার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্যোগ প্রকাশ করছো। তাদের উদ্দেশ্যে বলি,উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। আমার শারীরিক অবস্থা গুরুতর কিছুই নয়। সামান্য জ্বর ও রুটিন চেকআপ-এর জন্য আমি একদিনের জন্য কলকাতা ফিরি। তবে আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। আগামীকালই দেখা হবে আবার সকলের সাথে চণ্ডীপুরের মাটিতে। তোমাদের সকল ভালবাসা এবং উদ্বেগের জন্য আমি আবারো ধন্যবাদ জানাই সকলকে। আমি একদম ঠিক আছি এবং আমার সমস্ত রিপোর্ট ভাল যার জন্য আমি একদিনের জন্য কলকাতায় ছিলাম। আগামীকাল উক্ত অনুষ্ঠানে তোমাদের সকলের সাথে দেখা হবে। জনসভায় উপস্থিত থাকবো আমি এবং তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রী অভিষেক ব্যানার্জী। সময় ঠিক দুপুর ৩ টা। ভগবানপুর, ডেরেদিঘী, বি. এড কলেজ মাঠে। সকলের উপস্থিতি একান্ত কাম্য।‘



কিন্তু এই পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোহমের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেল। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থেকে তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, সব দলের প্রার্থীরাই ইতিমধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।  চণ্ডীপুরে আগামী ১ এপ্রিল অর্থাৎ দ্বিতীয় দফায় ভোট। তার আগে সোহম অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁর প্রচারে থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।  ২০১৪ সালে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন সোহম। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। ২০১৬ সালে ভোটের ময়দানে পা রাখেন তিনি। সে বছর বড়জোড়া থেকে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। সে বার যদিও জিততে পারেননি সোহম। তবে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন।