বাসন্তী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের খুনের ঘটনা (Panchayat Elections 2023)। বাসন্তীতে (Basanti News) খুন হলেন তৃণমূল কর্মী (TMC)। তাঁর মাথায় গুলি করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূলকর্মী। স্থানীয়রা রাস্তায় সেই অবস্থায় দেখতে পান তাঁকে। এই ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই কাজ করছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূলকর্মীর। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায় (South 24 Parganas News)।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বাসন্তীতে। সেখানকার ফুলমালঞ্চয় গুলি চলে। নিহত তৃণমূলকর্মীকে জিয়ারুল মোল্লা বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক সপ্তাহ বাকি থাকতে খুন হয়েছেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রত ৯টা নাগাদ ক্য়ানিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন জিয়ারুল। সেই সময়ই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চলে। সটান মাথায় এসে লাগে গুলি। তাতে ঘটানস্থলে, রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন জিয়ারুল।
স্থানীয় সূত্রে জানাা গিয়েছে, গুলি চলার আওয়াজ পেয়েছিলেন আশেপাশের মানুষজন। কিন্তু অন্ধকারে কিছু ঠাহর করা যায়নি। কিছুই চোখে পড়েনি কারও। পরে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় জিয়ারুলকে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাতেই জিয়ারুলকে শনাক্ত করা যায়। এর নেপথ্য়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। গুলি চালানোর পরই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
ক্যানিং থেকে বাড়ি ফিরছিলেন রাত ৯টা নাগাদ। সোপানের মোড়ে গুলি চালায় দষ্কৃতী। মাায় লাগে. লুটিয়ে পড়ে। ওয়াজ পেলেও দেখতে পাননি। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা পান। শানক্ত করা যায়। দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব সামনে আসছে। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হল।
এদিনের এই ঘটনায় এলাকার একাংশ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্বই সামনে এনেছেন। তাঁদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে আমানুল্লা নস্কর এবং মন্টু গাজি এবং তাঁর ছেলে রাজা গাজির মধ্যে গন্ডগোল ছিল। যুব তৃণমূলের অনেকে এবার পঞ্চায়েতের টিকিট পেয়েছেন। তাই নিয়ে মূল তৃণমূলে থাকা অনেকে অসন্তুষ্ট ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই নিয়ে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়। জিয়ারুল যুব তৃণমূলেরই কর্মী। যদিও সেখানে দুই শাখার মধ্যে বিভেদ ছিল না। ব্যবধান তুলে দেওয়া হয় আগেই। টিকিট নিয়ে সংঘাতের জেরেই জিয়ারুলকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে মনে করছেন অনেকে।
এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কাজ করছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত স্থানীয় নেতৃত্বের মন্তব্য যদিও দ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করছে। ঠিক কী কারণে খুন হতে হল জিয়ারুলকে, তা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। দুষ্কৃতীদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, এই বাসন্তীতেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেধেছিল। সেই সময় পুলিশই গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এবার সরাসরি খুনের ঘটনা। মনোনয়ন থেকে প্রাক নির্বাচনী সময়ে এই নিয়ে পর পর রক্তপাতের ঘটনা সামনে এল দক্ষইণ ২৪ পরগনা থেকে।