ভাস্কর ঘোষ, বালি: শিক্ষা-সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে বার বার উঠে আসে উল্লেখ। সেই রামকৃষ্ণ মিশনেরই (Ramkrishna Mission) ১২৫ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে বিশেষ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ হল। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল বেলুড়মঠে। দেশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ওই প্রতিযোগিতা হয়। তারই পুরস্কার হাতে তুলে দেওয়া হল পড়ুয়াদের (Belur Math)। 


স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে ওই বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়


কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সাহায্য় এবং বেলুড়মঠের যৌথ অংশগ্রহণে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। গত ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মবার্ষিকীতে ওই বিশেষ প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। এর মূল উদ্য়োক্তা ছিল রামকৃষ্ণ মিশন সারদাপীঠ। তারাই আয়োজনের দায়িত্বে ছিল। ছাত্রছাত্রীদের সুপ্ত প্রতিভা এবং সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানোর উদ্দেশ্যেই আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতার।


এই প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেওয়া হয় সমসাময়িক ভাবনাকে। তার মধ্যে ছিল পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক শক্তির অপচয় রোধ করা, গার্হস্থ্য জঞ্জালকে ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি-সহ সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধির নতুন উপায় বের করার মতো বিষয়ও। এর পাশাপাশি, কৃষিকার্যে ব্যবহৃত যন্ত্র, যা কিনা পরিবেশ বান্ধবও, গ্রিন এনার্জির ব্যবহার, তার জন্য নতুন প্রযুক্তি, যন্ত্র এবং উপায় বের করার ভাবনা নিয়ে দেশব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। 


আরও পড়ুন: Panchayat Top 5 News: BJP-কে ভোট দিতে বাম সমর্থকদের কাছে আর্জি শুভেন্দুর, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই কেন, কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে তরজা


প্রতিযোগিতা শেষ হলে পুরস্কার বিতরণের দিন ক্ষণের ঘোষণাও হয়ে গিয়েছিল আগেই। সেই মতো শনিবার বেলুড়মঠে পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান হয়। বিজয়ী প্রতিযোগী এবং দলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয় পুরস্কার। শুধুই স্মারক পুরস্কার নয়, নগদ পুরস্কারের ব্যবস্থাও ছিল। এই ধরনের প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে এই ধরনের আয়োজন পড়ুয়াদের পরিবেশ সচেতন করে তুলবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। 


পরিবেশ, প্রযুক্তি নিয়ে উৎসাহ, বিপুল সাড়া পড়ুয়াদের তরফে


এই প্রতিযোগিতা ঘিরে সাড়াও ছিল যথেষ্ট ভাল। গোটা দেশ থেকে বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করেন। বর্তমান দিনে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব উষ্ণায়ন যে জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে পরিবেশ নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে এই উৎসাহ আশাজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা, যা কিনা আজকের দিনে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সে ব্যাপারে আগ্রহ থাকাকে ইতিবাচক বলেই ধরছেন সকলে।