কলকাতা: রাজ্যপালের সুপারিশের পরেই নিজের X হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu on Governor)। বিষয়টিকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেছেন।
কী লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী?
ব্রাত্য বসু তাঁর X হ্য়ান্ডেলে লিখছেন, 'আমায় শিক্ষামন্ত্রীর (State Education Minister) পদ থেকে সরানোর সুপারিশ হাস্যকর। আমি যদি নির্বাচনী আচরণবিধি (MCC) ভেঙে থাকি। তাহলে সেটা তো কোনও রাজনৈতিক দলের নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার কথা, যারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।' শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, 'এমন অভিযোগ তুলে তিনি সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন এবং তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি প্রমাণ করছেন।' আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ব্রাত্য বসুর প্রশ্ন, 'সংবিধান স্পষ্ট বলেছে যে রাজ্যের ক্ষেত্রে কোনও মন্ত্রীর নিযুক্তি বা অপসারণ সম্পূর্ণভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অধীনে থাকা বিষয়। তিনি শুধু নিজের রং চেনালেন তাই নয়, সাংবিধানিক গণ্ডিও ভেঙে দিলেন।'
কী সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল?
ভোটের মুখে রাজ্য ও রাজ্যপাল (WB Governor CV Ananda Bose) সংঘাতে নাটকীয় মোড় দেখা গেল। মন্ত্রিসভা থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose on Bratya Basu)। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ব্রাত্য বসুকে অপসারণের সুপারিশ করা হয়েছে। ৩০ মার্চ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের বৈঠকে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানে লোকসভা ভোট নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা হয় বলে রাজভবন সূত্রে খবর। তারপরেই ব্রাত্যর (Bratya Basu) অপসারণের সুপারিশ রাজ্যপালের। 'গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূলপন্থী অধ্যাপক সংগঠনের বৈঠকে ছিলেন ব্রাত্য', সভাপতি হিসেবে থেকেও রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে, দাবি রাজভবন সূত্রে। গত ৩০ মার্চ, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে MP, MLA, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী। PTI সূত্রে খবর, আচার্য, সিভি আনন্দ বোস এপ্রসঙ্গে বলেছেন, শিক্ষাঙ্গনে এই বৈঠক ইউনিভার্সিটি-সিস্টেমকে (University System) অসম্মানিত করেছে।যদিও উপাচার্যের অনুমতি নিয়েই সরকারি ক্যাম্পাসে ওয়েবকুপার সভা হয়েছে বলে দাবি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'আমার ভারত আমার পরিবার...' শক্তিশালী সরকার গড়তে পদ্মচিহ্নে ভোট দেওয়ার ডাক মোদির