কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে(Panchayat Election)  রাজ্য়জুড়ে যে সন্ত্রাস চলেছে এবং চলছে, এ ব্য়াপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিক আদালত। এই আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। পাশাপাশি, তাঁর আবেদন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা এবং নিহতদের দেহ যাতে সসম্মানে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়, সে ব্য়াপারে রাজ্য় সরকারকে নির্দেশ দিক আদালত।  


উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিনই নওদায় ভোট-সন্ত্রাসে নিহত কংগ্রেস কর্মী লিয়াকত আলি শেখের বাড়িতে গেলেন অধীর চৌধুরী। গতকাল ভোট দিতে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনে বসেছিলেন লিয়াকত আলি শেখ। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষকৃতীরা পাথর দিয়ে কংগ্রেস কর্মীর বুকে আঘাত করে।এরপর তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর ২টি বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কংগ্রেস কর্মী লিয়াকত আলি শেখের মৃত্যু হয়। 


এর আগে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছিলেন অধীর চৌধুরী। এরপর একই দাবিতে, রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করল বিজেপিও। এরপরই, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। দেন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোটের বার্তা।


খুন, অস্ত্রের ঝনঝনানি, লাঠালাঠি...মারপিট। মনোনয়নের শুরুতেই জেলায় জেলায় ছড়িয়েছে অশান্তি। কোথাও আক্রান্ত হয়েছে সিপিএম-কংগ্রেস এবং বিজেপি। কোথাও আবার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সিপিএম। শুক্রবার, কংগ্রেস কর্মী খুনের পর,রাজ্যপালকে চিঠি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)।  কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় পঞ্চায়েত ভোট করানোর আবেদন করেন তিনি।                                   


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আমরাও সেই প্রশাসনকে জানিয়েছি, সেখানে আমরাও কিন্তু বসে থাকব না। যদি সংঘর্ষ হয় হবে। সংঘর্ষে পুলিশ তার দায়িত্ব নেবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করার অধিকার আছে বলে মনে করি। সেখানে কোনও বাধা এলে আমরা সেই বাধার মোকাবিলা করব, এটাও আমাদের অধিকারের মধ্য়ে পড়ে।                        


আরও পড়ুন: Panchayat Election: মুর্শিদাবাদে নিখোঁজ প্রার্থী, ভয় দেখানো হচ্ছে, কান্নায় ভাঙলেন মা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial