কলকাতা : রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একদফায় নির্বাচনের প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। যদিও সেই পথে হাঁটতে রাজি নন রাজ্য বিজেপির সর্বোচ্চ কর্তা। এবিপি আনন্দকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ''সত্যি সত্যি করোনাতে সংক্রমণ হচ্ছে কি ? তথ্য প্রমাণ চাই। মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, দিল্লিতে সবথেকে বেশি করোনা ছড়িয়েছে। সেখানে নির্বাচন কোথায় ? সেখানে সভা-সমিতি কোথায় হয়েছে? করোনা ছড়ানোর অন্য কারণ আছে। তা বিশেষজ্ঞদের ভাবা উচিত। এখানে যদি মনে হয় আগামী চারটে নির্বাচনে করোনা ছড়িয়ে যাবে, তাহলে প্রশ্ন উঠবে-গত চার দফায় কি করোনা ছড়িয়েছে ? যাঁরা পালাতে চাইছেন, তাঁদের বলব-আমরা লড়ে জিততে চাইছি।''


এদিন পাল্টা রাজ্যে করোনা ছড়ানোর জন্য তৃণমূল নেত্রীর দিকেই আঙুল তোলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ বলেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাস্তায় নেমে আঁকতে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে শুরু। ভাঙরে তারই দলের নেতা গত মে মাসে ২০ হাজার লোকের সমাবেশ করেছিল। তখন ভরা করোনার সময়। এখন আবার করোনা বাড়ছে। বামেরা বড় সভা করতে চাইলে পারবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, একদফায় ভোট হোক। কারণ তিনি বুঝে গেছেন, ম্যাচ হেরে গেছেন। এখন এক্সট্রা টাইমটা চলছে।''


শীতলকুচি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন। ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যে ৭টা থেকে ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যে ৭টা পর্যন্ত ছিল এই নিষেধাজ্ঞা। নির্বাচন কমিশনের এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ''নির্বাচন কমিশন মনে করেছে সবাইকে চমকানোর দরকার আছে। তাই তাঁরা এটা করেছেন। কারণ একজনকে বন্ধ করে লাভ নেই। সেখানে কথা উঠবে। তা সত্ত্বেও যাঁরা নির্বাচন কমিশনকে চ্যালেঞ্জ করছেন, বুঝতে হবে, তাঁরা চাইছেন এই ধরনের ঘটনা চলতে থাক। তাহলেই তাদের লাভ হবে।''


সম্প্রতি রাজ্যের সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগ নিয়ে মন্তব্য করায় কমিশনের কোপে পড়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২৪ ঘণ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। যার প্রতিবাদে গাঁধী মূর্তির নিচে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের সেই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'রাস্তায় বসব না-প্রতিবাদও করব না, কমিশনের নির্দেশ শিরোধার্য।'