পুরুলিয়া: ফের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় বিশৃঙ্খলা। নন্দীগ্রামের পর পুরুলিয়ার সভাতেও বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়।

তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি নিয়ে সভা করতে এসেছি। কিন্তু, স্থানীয় কোনও পুলিশকে দেখা গেল না। এত সভা দেখে তৃণমূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বিজেপি কর্মীরা কেউ প্ররোচনায় পা দেননি। তৃণমূল এখন দল নেই, কোম্পানি হয়েছে। পোলিং এজেন্ট দেওয়ার লোক পাবে না তৃণমূল। তৃণমূল এখন বিনয় মিশ্রের মতো তোলাবাজে ভরে গেছে।’

রাজ্যের সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিতে চায় সরকার। আগে পাবেন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা। এসপি ও স্বাস্থ্যকর্তাদের লেখা চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ইস্যুতে তাঁকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেছেন,  ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন ৩০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন। আবার না কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম চুরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। আমার আশঙ্কা, মুখ্যমন্ত্রী এর নাম টিকাশ্রী না দিয়ে দেন!’

তৃণমূলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেছেন, ‘ব্যালটের বান্ডিল বদলে জোড়াফুল করত। আমি তৃণমূলে ছিলাম, জানি কীভাবে সব হত। জেলা থেকে তোলার টাকা পৌঁছত কলকাতায় আর তোলাবাজ ভাইপোর দল চাকরি দিয়েছে। কয়েকদিন পর মিথ্যাশ্রী, কুত্‍সাশ্রী করতে আসবেন একজন। কৃষক নিধি সম্মান থেকে কেন বঞ্চিত বাংলার চাষিরা? বিজেপি এলে আয়ুষ্মান ভারত চালু হবে বাংলায়। বিজেপি জিতবেই বাংলায়।’

গতকাল পূর্ব বর্ধমানে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে কটোয়ায় পৌঁছন। সেখানে রাধা-গোবিন্দ মন্দিরে পুজো দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। দুপুরে কৃষক মথুরা মণ্ডলের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে যান বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। মেনুতে ছিল সবজি দিয়ে ডাল, আলু ভাজা, শাক, বেগুন ভাজা, পাঁচ মিশালি তরকারি, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস। কাটোয়ায় সভা মঞ্চ থেকে তিনি ঘোষণা করেন, ২৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি রাজ্যে কৃষক ভোজনের আয়োজন করা হবে। তিনি বলেন, ‘ওই সময় ৪০ হাজার গ্রাম সভায় কৃষকদের সংগঠিত করা হবে। কৃষকদের বাজেট ছয়গুণ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। বাংলায় জলের অভাব নেই, তবুও সেচ হয় এমন জমি কম। রাজ্য সরকারের গড়ে আমরাই কৃষক সম্মান নিধি চালু করব। কৃষিতে রোজগারের ক্ষেত্রে দেশে ২৪ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ।’

নাড্ডার পাশে গতকাল শুভেন্দুকে দেখা যায়নি। তবে আজ সভা থেকে তিনি ফের তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন।