কলকাতা: রাজ্যের চার কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে আদালতে যাচ্ছে বিজেপি। বসিরহাট, ঘাটাল, জয়নগর, ডায়মন্ড হারবারের ফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গেরুয়া শিবিরের। একাধিক বুথের সিসি ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে, পাশাপাশি সিবিআই তদন্তেরও আবেদন জানানো হতে পারে। (Suvendu Adhikari)


ওই চার কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করবেন ওই চার কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। বসিরহাটে সদ্য নির্বাচিত তৃণমূল সাংসদের প্রার্থী পদ বাতিলের আবেদন করা হবে। জয়নগর, ডায়মন্ড হারবারের একাধিক বুথের সিসি ফুটেজ কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে। ঘাটালের একাধিক বুথের সিসিটিভি ফুটেজও কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পরীক্ষার আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত চাইব আমরা।" (West Bengal BJP)


বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু। সেখানে তিনি বলেন, "হিরন্ময় চট্টোপাধ্য়ায় ঘাটাল নিয়ে পিটিশন দায়ের করছেন ১৯৫১ সালের পিপলস আইনে। কেশপুর এবং সবং থেকে প্রাপ্ত তথ্য, রিপোর্ট দিয়ে আবেদন জানাতে চলেছেন। তৃণমূল শুনে রাখুক, এই পিটিশন চার-পাঁচ বছর ধরে ঝুলে থাকবে না। ছ'মাসের মধ্যে যাতে মেটে, সেই ব্যবস্থা আমরা করছি।"


বসিরহাট প্রসঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য, "রেখা পাত্র পিটিশন দায়ের করছেন বসিরহাট নিয়ে। কারণ যে আইনে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, একই আইনে হাজি নুরুলের বাতিল হওয়ার কথা।" ডায়মন্ড হারবার নিয়ে তিনি বলেন, "অভিজিৎ দাস, ববি ডায়মন্ড হারবার নিয়ে পিটিশন দিচ্ছেন। তিনি ওয়েবকাস্টিং সিসিটিভি ফুটেজের তদন্ত হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে। রিপোর্ট যদি পক্ষে আসে, তাহলে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া বাতিল করে, সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন।" জয়নগর অশোক কাণ্ডারীও পিটিশন জমা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। 


আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: 'ভাল হলে নিজেদের ক্রেডিট দেন, খারাপ হলে আমার ঘাড়ে চাপান', BJP-র সংগঠন নিয়ে শুভেন্দু বললেন...


লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর কোচবিহারে শতাধিক ইভিএম বদল হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিকও। পাশাপাশি ছাপ্পাভোটেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নিশীথও। শুভেন্দু বলেন, "১৮ রাউন্ড পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন নিশীথ। ১৯-২০ রাউন্ডে তাঁকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইভিএম নম্বরের সঙ্গে ১৭ সি ফর্মের ১৯-২০ রাউন্ডের নম্বর মেলেনি। এর জন্য প্রতিবাদ করতে গেলে বিজেপি-র কাউন্টিং এজেন্টকে জেলাশাসকের নির্দেশে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাঁচ দিন জেল খেটে জামিন পেয়েছেন তাঁরা। আমরা কোচবিহারের বিষয়টিও খোঁজ খবর নিচ্ছি। যেহেতু ৩০ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন করতে হয়, আমাদের হাতে সময় আছে কিছুটা। আপাতত চারটি পিটিশন মঙ্গল-বুধের মধ্যে জমা পড়ছে।" পরবর্তীতে কোচবিহার নিয়েও পিটিশন জমা দেওয়া হবে বলে জানান শুভেন্দু।