উত্তর ২৪ পরগনা: দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পরাজিত সিপিএম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা নেতৃত্ব। রবিবার বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে, তন্ময় ভট্টাচার্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য রেখেছিলেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। এই বক্তব্যের সঙ্গে জেলা পার্টির কোনও সম্পর্ক নেই। বিবৃতি দিয়ে জানাল উত্তর চব্বিশ পরগনার সিপিএম নেতৃত্ব।
জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, তন্ময় ভট্টাচার্য সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচনী ফলাফল-সহ প্রসঙ্গ বহির্ভূত পার্টি পরিচালনা, পার্টি নেতৃত্বের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে অনেকটা সময় ধরে বক্তব্য রাখেন। তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত মত। এই বক্তব্য জেলা পার্টি অনুমোদন ও সমর্থন করে না। বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, এবিষয়ে তন্ময় ভট্টাচার্যর বক্তব্য শুনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে জেলা নেতৃত্ব।
ঠিক কী বলেছিলেন দমদম উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক?
রবিবার ‘ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন’ অনুষ্ঠানে তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “যেসব নেতারা উপর থেকে নির্দেশ দেয়, এই বিপর্যয়ের দায় তাদের নিতে হবে। আমার দলের যেসব নেতারা বলেন, আমরা ভোটের রাজনীতি করি না। রাস্তায় থাকি, তাদের হাতে জনতা জনার্দন ফুটো বাটি ধরিয়ে দিয়েছে। দলের সিস্টেম উলঙ্গ হয়ে গেছে। আদ্যিকালের ভাবনা ছেড়ে আরও অনেক সংস্কার দলে আসা প্রয়োজন।''
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে জোট হয়েছিল বাম এবং কংগ্রেসের। সেবারে প্রত্যাশিত ফল হয়নি। এবার আইএসএফ যোগ দিয়েছিল জোটে। আশা ছিল হাল ফিরবে। কিন্তু এবার আরও ধরাশায়ী পরিস্থিতি তিন দলের জোট সংযুক্ত মোর্চার। মাত্র একটি আসন পেয়েছে সংযুক্ত মোর্চার সমর্থিত আইএসএফ। বরাবরই মালদা, মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত। কিন্তু সেখানেও এবার দাঁত ফোটাতে পারেনি অধীর শিবির।
শ্রমজীবি ক্যান্টিন থেকে আমফান দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো, দেখা গিয়েছিল তাদের। আবার নির্বাচনের আগে আব্বাস সিদ্দিকি থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের ঝাঁঝালো বক্তৃতা মন কেড়েছে অনেকেরই। দুর্নাম ঘুচিয়ে তরুণ মুখদেরও প্রার্থী করেছিল সিপিএম। কিন্তু ইভিএমে তার প্রভাব যে বিন্দুমাত্র পড়ল না, তা ফলেই স্পষ্ট।