করুণাময় সিংহ, মালদা: ভোটপর্ব মিটতেই জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে এতে কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি করেছে বিজেপি।


বিধানসভা ভোটে রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি মালদাতেও ঘাসফুলের ব্যাপক চাষ হয়েছে।১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টিই গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।আর ভোটে এই সাফল্যের পরই, এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার তোড়জোড় শুরু করে দিল তৃণমূল।


তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা কোঅর্ডিনেটর  হেমন্ত শর্মা বলেছেন, জেলা পরিষদের ২৬ জন সদস্য তৃণমূলেই আছেন, সভাধিপতির বিরুদ্ধে দ্রুত অনাস্থা ডাকা হবে, যাঁরা দলত্যাগ করেছেন তাঁদের জেলা পরিষদের সদস্যপদ খারিজের জন্য আবেদন করা হবে।


ভোটের আগে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।তাঁর সঙ্গে আরও ১৩ জন সদস্য যোগদান করেছেন বলে দাবি করে বিজেপি। সেইসঙ্গে গেরুয়া শিবির দাবি করেছিল, মালদা জেলা পরিষদও তারা দখল করেছে।


তবে ভোট চলাকালীনই কয়েকজন ফিরে আসেন পুরনো দলে। শুধু তাই নয়, বিজেপি থেকেও জেলা পরিষদের কয়েকজন সদস্য যোগ দেন তৃণমূলে।


তৃণমূলে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য সাগরিকা সরকার বলেছেন, বাংলা ও মালদায় বিজেপির কিছু নেই, উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলে যোগ দিয়েছি, মালদা জেলা পরিষদ তৃণমূলের ছিল, থাকবেও।


এই প্রেক্ষাপটে এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতিকে সরানোর তোড়জোড় শুরু করে দিল তৃণমূল। যদিও, তৃণমূলের উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির।


মালদা জেলার বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ২১ জন জেলা পরিষদ সদস্য আমাদের সঙ্গে আছেন, অনাস্থা ডাকলে তখন দেখা যাবে, জেলা পরিষদ এখনও বিজেপির দখলে।


মালদা জেলা পরিষদ সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেছেন, ওদের কাজ ওরা করবে, আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করব, সব সময় এলে দেখা যাবে।


সব মিলিয়ে মালদার রাজনীতিতে কংগ্রেস অস্তাচলে যাওয়ার পর, এখন নতুন অধ্যায় তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল।