প্রথম দফার ভোটের শুরুতেই বিপত্তি। কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার ক্ষেত্রমোহন বিদ্যাভবনে চারটি বুথের মধ্যে তিনটি বুথের ইভিএম বিকল। যার জেরে সকাল থেকে লম্বা লাইন। এরই মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিসাইডিং অফিসার। 




এদিকে, ইভিএমের যে কোনও বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট পড়ছে বলে অভিযোগ করে ভোটাররা বিক্ষোভ দেখানোর জেরে মাজিনায় বন্ধ ভোটগ্রহণ। ভোটগ্রহণের সঙ্গে যুক্ত অফিসাররা অবশ্য ইভিএমের সমস্যা মানতে চাননি। তাদের সাফ কথা, ভোটারদের বিক্ষোভ যাতে অপ্রীতিকর ঘটনাক্রমে মোড় না নেয়, সেই জন্যই বাধ্য হয়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে।


ভোটারদের একাংশের দাবি, এখানে এখনও পর্যন্ত যে ভোটদান হয়েছে, তা বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণ করা হোক। বিক্ষোভের জেরে মাজনায় দুটি বুথে ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মাজনায় ভোটগ্রহণ ফের হয়। 


২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে কাঁথি দক্ষিণ কেন্দ্রে জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের বিধানসভা ওয়াড়ি ফলাফলেও যেখানে এগিয়ে ছিল রাজ্যের শাসক দলই।


আজ প্রথম দফায় রাজ্যের পাঁচ জেলার তিরিশটা আসনে চলছে ভোটগ্রহণ । এর মধ্যে তেইশটা আসনই জঙ্গলমহলের চার জেলায়, সাতটা আসন পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিরিশটা আসনের মধ্যে পুরুলিয়ার নটা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ছটা, বাঁকুড়ার চারটে, পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটা এবং ঝাড়গ্রামের চারটে আসন রয়েছে।


২০১৬ বিধানসভা ভোটে এই তিরিশটা আসনের মধ্যে সাতাশটাতেই জিতেছিল তৃণমূল। আর তিনটে আসনে জিতেছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কিন্তু, তারপর তিন বছরে ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গেছে। দু’হাজার উনিশের লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফল অনুযায়ী, প্রথম দফার এই তিরিশটা আসনের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে সতেরোটা আসনে, আর তৃণমূল এগিয়ে তেরোটাতে।


প্রথম দফার নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের সাতটা আসনে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে রামনগরে তৃণমূল প্রার্থী করেছে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত অখিল গিরিকে।


আর খেজুরিতে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী, সিপিএমের আরেক দাপুটে নেতা হিমাংশু দাস।