সমীরণ পাল, ভাটপাড়া: ইদের অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাক্তন দলীয় সতীর্থ ও বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বী, বিজেপির অর্জুন সিংয়ের (BJP Candidate Arjun Singh) নামে স্লোগান শুনলেন পার্থ ভৌমিক (TM Candidate Partha Bhowmik)। এদিন ভাটপাড়ায় ইদ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থী। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। পার্থ আসতেই দলীয় কর্মীরা অর্জুন সিংয়ের নামে 'জিন্দাবাদ' স্লোগান দিতে থাকেন। চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান পার্থ। পরে অবশ্য ভুল বুঝে 'সঠিক' স্লোগান দেন কর্মীরা। ঘটনার সময় সেখানে হাজির ছিলেন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেব্জ্যোতি ঘোষ। তাঁর যুক্তি, এক দলীয় কর্মী ভুল করে স্লোগান দিয়ে ফেলেছে। কিন্তু গোটা পর্বের ভিডিও এখন ভাইরাল। রাজনৈতিক মহলের অনেকের প্রশ্ন, যেখানে অর্জুনের দলবদল নিয়ে বিস্তর টানাপড়েনের সাক্ষী থেকেছে গোটা রাজ্য, তার পর এমন ভুল কতটা সঙ্গত? ভোটের মুখে এই ঘটনা নানা গুঞ্জন তৈরি করেছে। 


যা জানা গেল..
গত ১০ মার্চ, ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় ৪২ কেন্দ্রের প্রার্থিতালিকা ঘোষণার সময় ব্যারাকপুরে পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়। তার পর থেকে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে শুরু করেন অর্জুন। এর পর, ভোটের ঠিক আগে ঘোষণা করেন, ফের বিজেপিতে ফিরে যাচ্ছেন। ব্যারাকপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে নামও ঘোষণা হয় তাঁর। পার্থ-অর্জুন ভোট-সমরে শেষ হাসি কে হাসবে, সেটা অবশ্য় সময়ই বলবে। তবে লোকসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে দুজনই যে যুদ্ধজয়ের কোনও চেষ্টা বাকি রাখছেন না, সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। মার্চের শেষ দিকে যেমন, প্রচারের জন্য মুকুল রায়ের বাড়িতে যেতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। অর্জুন বলেন, মুকুল তাঁকে 'বিজয়ী ভব' বলেছেন। যদিও এই নিয়ে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু কোনও মন্তব্য করেননি। 
অন্য দিকে, আবার প্রচারের জন্য লোকসভা কেন্দ্রের এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে বেড়াতে কোনও রকম কসুর করছেন না মুকুল। ভোট যত এগিয়ে আসছে, গরমও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। ফলে এই সময়ে সুস্থ থাকাটাও যে বাড়তি চ্যালেঞ্জ, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। 'হেভিওয়েট' প্রতিপক্ষকে টক্কর দিতে কোনও কোনও দিন বাড়িতে জলখাবার খাওয়ারও সুযোগ হচ্ছএ না। সে দিন  রুটি আলুভাজা সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন পার্থ। বললেন, 'গাড়িতে রুটি তরকারি থাকে। কখনও অমলেট থাকে। প্রচারে থাকলে গাড়িতে খাবার নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।' মাছ-মাংসে বিশেষ আসক্তি নেই পার্থ ভৌমিক। তাঁর ভাল লাগে নিরামিষ খাবার। তাই বেশিরভাগ দিনই দুপুরে নিরামিষ খাবারই খান পার্থ। তাঁর দুপুরের খাবারে থাকে, ভাত, টক ডাল, উচ্ছে, ভাজা, সবজি।


আরও পড়ুন:'এখনও প্রাণনাশের হুমকি...', কেন আতঙ্ক তাড়া করছে বাসিন্দাদের?