কলকাতা: পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেদার হিংসা, অশান্তি এবং প্রাণহানির ঘটনা সাামনে এসেছে (Panchayat Elections 2023) । নির্বাচন পরবর্তী সময়েও অব্যাহত হিংসা। তা নিয়ে বিরোধীরা যখন শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করছে, সেই সময় সরাসরি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এবং আদালতের বিচারপতিদের একাংশকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আদালত বিজেপি-র গুন্ডাবাহিনীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি।
শুক্রবার সন্ধেয় কলকাতার SSKM হাসপাতালে নন্দীগ্রামে আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে যান অভিষেক। সেখান থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। আর সেখানেই আদালতকে নিশানা করেন। বিজেপি-র পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে, বাচ্চাদেরও বাড়িছাড়া করছে বলে অভিযোগ করেন অভিষেক।
আর তার পরই হাইকোর্টের বিরুদ্ধে রাজ্য বিজেপি-কে নিরাপত্তা দেওয়ার অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, "পুলিশ ব্যবস্থা নেবে কী করে? অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হল, হাইকোর্ট এদের নিরাপত্তা দিয়ে রেখে দিয়েছে। আমি বার বার বলেছি, বিচারব্যবস্থার একাংশ যেভাবে বিজেপি-কে মদত দিচ্ছে, গণতন্ত্রের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে বিচারব্যবস্থা, চতুর্থ সংবাদমাধ্যম। এই দুই স্তম্ভকে ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে চলেছে বিজেপি।"
হাইকোর্টকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, "এই সমাজবিরোধীদের নিরাপত্তা দিয়ে চলেছে হাইকোর্ট। এদের কী ভাবে বাঁচানো যায়, মুক্ত রেখে সন্ত্রাস করতে আরও মদত দেওয়া যায়, সাহায্য় করা যায়, হাইকোর্টের একাংশ যেভাবে তাতে মদত দিচ্ছে অত্যন্ত দুঃখজনক। ভারতের মতো দেশে একট রাজনৈতিক দলকে মদত দিয়ে হৃষ্টপুষ্ট করে তোলার ঘটনা, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে আগে হয়নি। কেই আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু সত্যি বলার জন্য যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়, নিতে পারে।"
অভিষেক আরও বলেন, "যে দোষ করবে, সে যেন জেলে যায়। শুভেন্দু অধিকারীর ছত্রছায়ায় যাঁরা, তাঁদের কেন সুরক্ষা কবচ দিয়ে রেখেছে? আমি রক্ষাকবচ চাইলে দেবে না, বিজেপি নেতারা চাইলে কেন দিচ্ছে?" এদিন সরাসরি বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নাম উল্লেখ করেন অভিষেক। বলেন, "এই একজনের জন্য গোটা বিচারব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। রাজ্যের মেশিনরি ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। দিল্লির অর্ডারে কাজ হচ্ছে। শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছেন যে আগামী দিনে কোনও অপকর্ম করলেও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না তাঁর বিরুদ্ধে। আমি যাব এই বিচারপতির কাছে? চাইব রক্ষাকবচ! আমাকে দেবেন না। না চাইতেই বিজেপি নেতাদের দিয়ে দিচ্ছেন।"