কলকাতা: এক তারকার জায়গায় এবার প্রার্থী আর এক তারকার নায়িকা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। গত বছর ওই কেন্দ্রে প্রার্থী ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। সম্প্রতি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তার পরই যাদবপুরে সায়নীকে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল। এই মুহূর্তে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রীও সায়নী। (TMC Lok Sabha Candidature)


২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলে যোগদান করেন সায়নী। সে বছর বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীও হন। আসানসোল দক্ষিণে তাঁকে প্রার্থী করে তৃণমূল। কিন্তু BJP-র অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হন সায়নী। তবে শুধুমাত্র টিকিট পাওয়ার জন্যই যে তৃণমূলে যোগ দেননি, তা বুঝিয়ে দেন সায়নী। ক্রমশ সংগঠনের কাজে জড়িয়ে পড়েন। এর পর ওই বছরই জুন মাসে তৃণমূলের যুব কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে যান অভিষেক। সেই জায়গায় নিযুক্ত হন সায়নী। 


একসময় বামপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সায়নী। কলকাতা চলচ্চিচত্র উৎসব কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে ছেয়ে যাবে, সেই নিয়ে প্রকাশ্যেই প্রশ্নে তুলেছিলেন। তাই তৃণমূলে যাওয়া নিয়ে গোড়া থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল সায়নীকে। পাশাপাশি, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে সংযোগের জেরে কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্ন উঠেছিল তাঁর সম্পত্তি নিয়েও। তবে রাজনীতি চালিয়ে গিয়েছেন সায়নী। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রেড রোডে ধর্নাতেও বসেন তিনি। 


আরও পড়ুন: TMC Lok Sabha Candidature: বহরমপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ইউসুফ, অধীরকে মাত দিতেই কি সিদ্ধান্ত?


যে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার সায়নীকে প্রার্থী করা হল, ২০১৯ সালে সেখানে তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ান মিমি। যাদবপুর থেকে জয়ী হয়ে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু এবছর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন মিমি। দলনেত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দেন। মিমি জানান, রাজনীতি যে তাঁর জন্য নয়, তা বুঝতে পেরেছেন তিনি। কাজ করতে গিয়ে বাধা পেয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।


বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার আগে ভাঙড়ের দু'টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সনের পদ থেকেও ইস্তফা দেন মিমি। এর পর তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, মিমিকে প্রার্থী না-ও করতে পারে তৃণমূল। যাদবপুরে কাকে প্রার্থী করা হতে পারে, সেই নিয়ে একাধিক সম্ভাব্য নামও উঠে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত রবিবার সায়নীর নামে সিলমোহর পড়ল। ব্রিগেডে 'জনগর্জন' সভায় তাঁর নামে সিলমোহর দেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী সায়নীকে নিয়ে হাঁটেন মমতা।