ময়নাগুড়ি: প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনা, কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছরে কোনও প্রাপ্য মেটায়নি, শুধু অহরহ মিথ্যে বলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন অভিষেক। CAA-র নামে সকলের কাগজ চাওয়ার আগে ক্ষমতা থাকলে বকেয়া নিয়ে কেন্দ্র শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেখাক বলেে চ্যালেঞ্জ ছুড়েন। (Abhishek Banerjee)


বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে সভা করেন অভিষেক। প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে ফের সেখানে কেন্দ্র এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি, যদি আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিয়ে থাকেন, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। ২০২১ সালে বাংলায় হেরে যাওয়ার পর গত তিন বছরে ১০ পয়সা দিয়েছেন বলে যদি প্রমাণ করতে পারেন, রাজনীতি থেকে চিরতরে বিদায় নেব আমি। ৪৪০০০ কোটি টাকা নাকি দিয়েছে? শুধু মিথ্যে কথা। ১০ পয়সা দিয়েছেন দেখান দেখি! আনুন কাগজ।" (Lok Sabha Elections 2024)


প্রাপ্য বকেয়া নিয়ে অভিষেক আরও বলেন, "দেশের মানুষকে নাগরিকত্ব দেবেন বলে তো কাগজ চাইছেন! নিজেদের কাগজ কোথায়? কী মোদিবাবু! বাংলায় যদি টাকা পাঠিয়ে থাকেন, তা তো দিল্লি থেকে উড়ে আসেনি? ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে পাঠিয়েছেন নিশ্চয়ই! সেই লেনদেনের তথ্য প্রকাশ করুন। টাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি ছিল নিশ্চয়ই! শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন তাহলে। ২০২১-'২২, ২০২২-'২৩ এবং ২০২৩-'২৪ অর্থবর্ষে ১০ পয়সা দিয়েছেন বলে যদি প্রমাণ করতে পারেন, রাজনীতি ছেড়ে দেব।"


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘৩০০০ কোটির রামমন্দির হয়েছে, মাথার উপর ছাদ গড়ার টাকা মেলেনি’, ভোটারদের বার্তা অভিষেকের


সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার বার্তা দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "আবাস যোজনার টাকা বন্ধ রেখেছে। কারণ আপনারা আবাস যোজনাকে সামনে রেখে ভোট দেননি। ভোট দেননি পাড়ার রাস্তা, জল পরিষেবাকে সামনে রেখে। ১০০ দিনের কাজকে সামনে রেখে ভোট দেননি, তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে। এবারের নির্বাচন তাই কেন্দ্রে সরকার নির্বাচনের জন্য নয়, প্রতিবাদ, প্রতিশোধ, প্রতিরোধ এবং শিক্ষা দেওয়ার ভোট।  ভাঁওতাবাজি করে আপনাদের ভোট নিয়ে গিয়েছিল। কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিন।"


কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্যের তুলনাও টানেন অভিষেক। তাঁর অভিযোগ, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে দেবে বলেও, প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি মোদি সরকার। কিন্তু বাংলার সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে। তাই নিজেদের অধিকারকে সামনে রেখে বাংলার মানুষকে ভোট গিকে আহ্বান জানান তিনি।