কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা: ‘আপনি কাকে ভোট দেবেন, সেটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি আপনাদের পাশে আছি’। হালিশহরকাণ্ডে আক্রান্ত পরিবারকে ফোন করে, শুক্রবার এই বার্তাই দিয়েছেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। একদিকে যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই পরিবারকে ভোট না দিতে শাসানোর এবং তারপর মুচলেকা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে, তখন পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদের এই বার্তা শাসক দলের অস্বস্তি বাড়াবে বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।


রবিবার রাতে বীজপুরের ভোটার দেবশ্রী ঘোষের বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। দেবশ্রীর সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে পর্যন্ত মারধর করা হয়। দেবশ্রী অবশ্য হুমকিতে পিছিয়ে যাননি। মেয়েকে কোলে আঁকড়েই ভোট দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিদ্বজ্জনদের একাংশ দেবশ্রী ও তাঁর মেয়ের পাশে দাঁড়িয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও দেবশ্রীকে ফোন করে বলেন, আপনি কাকে ভোট দেবেন, এটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনি রুখে দাঁড়িয়ে, ঠিক করেছেন। আমি আপনাদের পাশে আছি।

পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে দেবশ্রীকে নিজের মোবাইল নম্বরও দেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল সাংসদ। সেইসঙ্গে দেন একটা ছোট্ট প্রতিশ্রুতিও! তবে, এ প্রতিশ্রুতি কোনও ভোটারকে একজন রাজনীতিবিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নয়! এ প্রতিশ্রুতি একরত্তির শিশুর মনের দুঃস্বপ্ন ঘোচাতে জঙ্গল বুক দেখতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি!

মঙ্গলবারই অবশ্য দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছিলেন, ওই ছোট্ট মেয়েটির প্রতি আমার সমবেদনা। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করেছে, দল না দেখে তাদের শাস্তি দেওয়া উচিত। আমি ওই মেয়েটি এবং তার পরিবারের পাশে আছি। এলাকার সাংসদ হিসেবে যা দরকার করব।

এদিন চকলেট ও ফুল নিয়ে আক্রান্ত শিশুটির সঙ্গে দেখা করতে যান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। পরে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।

তবে এসবের মধ্যেও তৃণমূল সাংসদের পাশে থাকাটা শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ালেও, আক্রান্ত এই পরিবারকে বাড়তি সাহস জোগাবে বলেই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।