কলকাতা ও নয়াদিল্লি: ভোটের মধ্যে নারদকাণ্ডে আরও তীব্র হল শাসক দলের অস্বস্তি। ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।


শুক্রবার, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজ, আই ফোন এবং পেন ড্রাইভ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠাতে হবে। এই দায়িত্বে থাকবেন ৩ সদস্যের কমিটিতে থাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার। যত দ্রুত সম্ভব এটা করতে হবে। কোনও ভাবেই এই প্রক্রিয়া যেন ৪ সপ্তাহের বেশি দীর্ঘ না হয়। ৪ সপ্তাহের মধ্যে মুখবন্ধ খামে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
পাশাপাশি, নারদ নিউজের সিইও ম্যাথ্যু স্যামুয়েলের আইনজীবীকে হাইকোর্টের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের উপস্থিতিতে, হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে গিয়ে, নিজের ল্যাপটপ জমা দিয়ে আসতে হবে ম্যাথ্যু স্যামুয়েলকে।
ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশের পর সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পথ আরও প্রশস্ত হল বলে আশা মামলাকারীর আইনজীবীর।

নারদ-ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে বুধবারের শুনানিতেই ইঙ্গিত মিলেছিল। আদালত কক্ষের দেওয়ালে থাকা অশোক স্তম্ভের দিকে দেখিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ বলেছিল,
সত্যমেব জয়তে। সত্য সামনে আসা দরকার। সাধারণ মানুষের জানা দরকার, কী ঘটছে। এই ফুটেজ সত্য হোক বা জাল, দুই ক্ষেত্রই অস্বাস্থ্যকর, বিপজ্জনক। তাই ফুটেজের পরীক্ষা হওয়া দরকার।
শেষমেষ নারদ-ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষারই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। এই নির্দেশ দিতে গিয়ে হাইকোর্টের মন্তব্য,
জনগণের বিশ্বাস ও আস্থাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে, নারদ স্টিংকাণ্ডে সাংসদ-বিধায়কদের পদ খারিজের দাবিতে দুর্নীতি বিরোধী আইনে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। যদিও নারদ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা চলায়, সর্বোচ্চ আদালত জানায়, মামলা হাইকোর্টে চলছে, সেখানেই যাবতীয় বক্তব্য জানাক মামলাকারী।