কোচবিহার: ভোটের মুখে ফের বেলাগাম মন্ত্রী। ভোটে অশান্তি করতে আসলে গাছে বেঁধে পেটানোর নিদান দিলেন উদয়ন গুহ। বৃহস্পতিবার দিনহাটার ভেটাগুড়িতে ভোটের প্রচারে গিয়ে হুঙ্কার দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। 

এর আগেও একাধিকবার বেফাঁস মন্তব্য করেছেন উদয়ন গুহ। বিতর্ক তৈরি করেছে তাঁর একাধিক ফেসবুক পোস্ট। গতকালই কোচবিহারের দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকে ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতকেই বিরোধীশূন্য করার ডাক দেন উদয়ন গুহ। ফেসবুকে খোলাখুলি লেখেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যা নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে বিজেপি। যদিও বিরোধীশূন্য করার প্রস্তাবে অন্যায় কিছু দেখছেন না মন্ত্রী।                                                                  

বিনা যুদ্ধে ভোটে জেতার স্বাদ আগেও পেয়েছে তৃণমূল। ২০১৮-র ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে ২০২৩-এও। এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর একটি ফেসবুকে পোস্ট ঘিরে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক ছড়ায়। কোচবিহারের দিনহাটায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ২ নম্বর ব্লক থেকে বিরোধীদের মুছে ফেলার বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সোশাল মিডিয়ায় দলের ১২ জন অঞ্চল সভাপতির কাছে খোলাখুলি বিরোধীশূন্য ব্লকের দাবি জানালেন উদয়ন। 

পরিসংখ্যান বলছে, ভোটের আগেই দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। দিনহাটা ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬টি আসনের মধ্যে ১৩টিই ভোটের আগেই তৃণমূলের দখলে।  এই ব্লকে জেলা পরিষদের ৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিনা যুদ্ধেই একটি গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। 

এর পরও ভোটের পরীক্ষায় বসার আগে রেজাল্ট বের করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন রাজ্যের মন্ত্রী। যা নিয়ে সরব বিজেপি। বিরোধীদের সমালোচনার মুখেও নিজের তত্ত্বে অনড় উদয়ন। গণতান্ত্রিক লড়াইকে বিরোধী শূন্য করার বার্তায় অন্যায় দেখছেন না তৃণমূল বিধায়ক। 

পরিসংখ্যান বলছে,কোচবিহারে পঞ্চায়েতের মোট আসন ২ হাজার ৫০৭টি। এর মধ্যে ভোটের আগেই ১৫৭-টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এই ১৫৭টি আসনের মধ্যে ৮০টিই দিনহাটায়। অর্থাৎ উদয়নের দিনহাটায় ৫০ শতাংশের বেশি আসন বিনা যুদ্ধেই দখল করেছে তৃণমূল। এর আগে  ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল।