নয়াদিল্লি: খাতায়-কলমে এখনও বিজেপি-তেই রয়েছেন যদিও। তবে সমীকরণ বদলেছে বলে গুঞ্জন। সেই আবহই বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধী খবরের শিরোনামে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এবছর গেরুয়া শিবির থেকে টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয়ী বরুণ। তেমন হলে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামতে পারেন তিনি। (Varun Gandhi)


২০০৯ সাল থেকে লোকসভায় বিজেপি-র প্রার্থী বরুণ। ২০০৯ সালে মা মানেকা গাঁধীর কেন্দ্র বলে পরিচিত, উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে বিজয়ী হন তিনি। ২০১৪ সালে সুলতানপুরে এবং ২০১৯ সালে আবারও পিলিভিটে জয়ী হন। এবছর এখনও পর্যন্ত পিলিভিট কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিজেপি।  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন (CEC) পিলিভিটের প্রার্থী ঠিক করবে। (Lok Sabha Elections 2024)


কিন্তু এবার পিলিভিট থেকে বরুণের টিকিট পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে খবর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি নিজের প্রতিনিধিকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন দিল্লি। সেখান থেকে মোট চার সেট নির্বাচনী মনোনয়নপত্র আনান তিনি। সেগুলি নিয়ে আবারও দিল্লি রওনা দেন বরুণের প্রতিনিধি। বরুণের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বিজেপি টিকিট না দিলে নির্দল প্রার্থী হিসেবেই পিলিভিট থেকে লড়াই করবেন বরুণ।


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মন্তব্য বিকৃত করার অভিযোগ রাহুলের, তাঁর বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপি-র


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখনও পর্যন্ত বহুজন সমাজ পার্টির প্রাক্তন সাংসদ রিতেশ পান্ডেকে অম্বেডকর নগরে প্রার্থী করেছে বিজেপি। হেমা মালিনী, রবি কিষাণ, অজয় মিশ্র টেনি, মহেশ শর্মা, এসপিএস বাঘেল এবং সাক্ষী মহারাজকে তাঁদের পুরনো কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। মোদি নিজে বারাণসী থেকেই লড়বেন তৃতীয় বার। রাজনাথ সিংহ লড়াই করবেন লখনউ থেকে। স্মৃতি ইরানি অমেঠী আসনটিই ধরে রাখার চেষ্টা করবেন।


তাহলে বরুণের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় কেন? দিল্লি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের একাংশ বরুণকে প্রার্থী করতে নারাজ। দলের কোর কমিটির মিটিংয়ে সেই প্রস্তাবও উঠেছে। এর জন্য সাম্প্রতিক কিছু ঘটনাবলীর দিকে ইঙ্গিত করছেন বরুণ ঘনিষ্ঠরা। গত বছর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে বরুণ খোঁচা দেন বলে অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্য সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, "আশপাশে কোনও সাধুকে দেখলে ঘাঁটাবেন না। কে বলতে পারে মহারাজজি একদিন মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন না!"


২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেঠীর সঞ্জয় গাঁধী হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের বিরুদ্ধেও সরব হন বরুণ। ট্যুইটারে সেই সময় বরুণ লেখেন, 'কোনও নাম নিয়ে অসন্তোষ থাকতেই পারে, কিন্তু তার জন্য মানুষের কাজ নষ্ট হওয়া কাম্য নয়'। শুধু তাই নয়, কৃষকদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের সপক্ষেও সওয়াল করেন বরুণ। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় অরণ্যে একের পর এক চিতার মৃত্যুতেও কেন্দ্রের সমালোচনা করেন, তাতেই বিজেপি-র একাংশ তাঁর উপর ক্ষুব্ধ বলে খবর।