নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেয়নি বিজেপি। যে পিলিভিটে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছিলেন বরুণ গাঁধী (Varun Gandhi), সেখানে এবার অন্য জনকে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। সরকারি নীতি-নিয়মের সমালোচনা করাতেই তাঁর প্রার্থিপদে কোপ নেমে এসেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বরুণ নির্দল প্রার্থী হিসেবে আবারও নির্বাচনের ময়দানে নামবেন, নাকি আহ্বানে সাড়া দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেবেন কি না, শুরু হয়েছে জল্পনা। সেই আবহেই পিলিভিটবাসীকে আবেগতাড়িত বার্তা পাঠালেন বরুণ। (Lok Sabha Elections 2024)


চিঠিতে নিজেকে 'পিলিভিটের ছেলে' বলে উল্লেখ করেন বরুণ। তিনি লেখেন, "আমার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হতে চললেও, শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কে ছেদ পড়বে না। সাংসদ না থাকলেও, পিলিভিটের ছেলে হিসেবে আজীবন আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমি। আপনাদের জন্য আমার দরজা আগের মতোই খোলা থাকবে।"


বরুণ আরও লেখেন, "পিলিভিটের মানুষের সেবা করার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য। আপনাদের আদর্শ, সারল্য এবং মহানুভবতা আমার বেড়ে ওঠা এবং মন গঠনের নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করেছে। আপনাদের জনপ্রতিনিধি হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। নিজের সাধ্য মতো আপনারে স্বার্থের কথা তুলে ধরেছি বরাবর। রাজনীতিতে এসেছিলাম সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরতে। আজ আশীর্বাদ চাইছি যাতে চিরকাল এই কাজ করে যেতে পারি, তার জন্য যে মূল্যই দিতে হোক না কেন।"



আরও পড়ুন: Arvind Kejriwal: ED-সামনে রেখে তোলাবাজি BJP-র, ফাঁদে ফেলা হচ্ছে তাঁকে, আদালতে বললেন কেজরিওয়াল


পিলিভিটের সঙ্গে নিজের নিবিড় সম্পর্কের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বরুণ জানান, ১৯৮৩ সালে তিন বছর বয়সে মা মানেকা গাঁধীর হাত ধরে প্রথম বার পিলিভিটে গিয়েছিলেন। তখন কল্পনাও করেননি যে পিলিভিটের ভূমি তাঁর কর্মক্ষেত্রে পরিণত হবে, সেখানকার মানুষ তাঁর পরিবারের অংশ হয়ে উঠবেন। বরুণ জানিয়েছেন, পিলিভিটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যাবতীয় রাজনৈতিক সমীকরণের ঊর্ধ্বে।


গত ২২ মার্চ বিজেপি তাদের পঞ্চম প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট আসনটিতে বরুণের পরিবর্তে জিতিন প্রসাদকে প্রার্থী করে তারা। বিজেপি-র এই সিদ্ধান্তকে প্রতারণা বলে মনে হয়েছে, এমনটা আগেই জানিয়েছেন বরুণ। তবে রাজনীতিতে নিজের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কিছু জানাননি তিনি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে বরুণ নির্বাচনী রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলে শোনা গিয়েছিল মাঝে। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী আবার কংগ্রেসেরও স্বাগত জানান তাঁকে। তবে আগামী পরিকল্পনা কী, এখনও খোলসা করেননি বরুণ।