নয়াদিল্লি: এমনি দিনে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড দিতে চেয়ে ফোন, মেসেজে ভরে যায় ফোন। লোকসভা নির্বাচনের আগে সরকারি বার্তায় ভরে যাচ্ছে মেসেজ বক্স, চ্য়াটবক্স এমনকি ইমেলও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) তরফেও অহরহ মেসেজ, চিঠি এসে পৌঁছচ্ছে (Lok Sabha Elections 2024)। 'বিকশিত ভারত সম্পর্ক' শীর্ষ চিঠিতে উন্নয়ন সংক্রান্ত সুপারিশ চাওয়া হচ্ছে। ফোনে যেমন মেসেজ ঢুকছে, ইমেলে চিঠি আসছে, তেমনই হোয়াটসঅ্যাপেও মেসেজ ঢুকছে। তবে শুধু ভারতবাসীর কাছেই নয়, বিদেশ বিভুঁইয়েও মোদির 'বিকশিত ভারত সম্পর্ক' চিঠি পৌঁছচ্ছে বলে একাধিক দাবি সামনে এল। (Viksit Bharat Sampark Message)


হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দেশবাসীর কাছে ‘বিকশিত ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক যে চিঠি ঢুকছে, তা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ব্রিটেন এমনকি পাকিস্তান নিবাসীদের কাছেও পৌঁছচ্ছে বলে খবর। ভারতীয় নম্বর থেকেই ওই চিঠি পৌঁছচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে দেশবাসীর কাছে ‘বিকশিত ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক যে চিঠি ঢুকছে, তা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ব্রিটেন এমনকি পাকিস্তান নিবাসীদের কাছেও পৌঁছচ্ছে বলে খবর। ভারতীয় নম্বর থেকেই ওই চিঠি পৌঁছচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। চিঠিতে ‘আবাস যোজনা’, ‘আয়ুষ্মান ভারত’, ‘মাতৃবন্দনা যোজনা’র মতো সরকারি প্রকল্প নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।


ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘আপনাদের পরামর্শ, সমর্থন প্রয়োজন আমার, তা পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি, যাতে বিকশিত ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি’। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর তরফে পরামর্শ চেয়ে ওই ধরনের মেসেজ এবং চিঠি ঢুকছে। তবে দেশের বাইরে, বিদেশিদের কাছেও ওই বার্তা পৌঁছনোর খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।



আরও পড়ুন: Nisith vs Udayan Scuffle: রাস্তায় হাতাহাতিতে জড়ালেন নিশীথ-উদয়ন, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটা


হোয়াটসঅ্যাপে প্রাপ্ত ওই চিঠির কথা সংবাদ ধরেছেন দুবাই নিবাসী পাকিস্তানি সাংবাদিক আসমা জইন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “মধ্যরাতে হঠাৎ মেসেজ ঢুকল। আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, আমার থেকে মোদি কী পরামর্শ চাইতে পারেন? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, আমার কি আদৌ কিছু পরামর্শ দেওয়া উচিত?” আর এক পাকিস্তানি নাগরিক ফারহাদ সিদ্দিকি বলেন, “অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ঘটনা।” ব্রিটিশ এক নাগরিক বলেন, “আমার নম্বর ওরা পেল কী করে, তা জানতে আগ্রহী আমরা।”


নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে যাওয়ার পর সরকারি নম্বর থেকে মোদি বিজেপি-র হয়ে প্রচার করছেন কী করে, আগে থেকেই সেই প্রশ্ন তুলছিল কংগ্রেস। বিদেশেও ওই মেসেজ পৌঁছনোর খবরে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, '


শুধু ভারতীয়দেরই বোকা বানাচ্ছেন না মোদি, 'বোকা বানাচ্ছেন গোটা বিশ্বকে। অন্য দেশের নাগরিক, এমনকি পাকিস্তানি নাগরিকরাও প্রোপাগান্ডা মেসেজ পাচ্ছেন। ফেসবুক নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে এক্ষেত্রে। ৭ শতাংশ রিপোর্ট জমা পড়লে এবং মেসেজ ব্লক করলেই বিজনেস অ্যাকাউন্টগুলি ব্লক করে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে ওদের। তার পরও এসব চলছে। এর মোকাবিলা করতে এই ধরনের মেসেজ পেয়ে রিপোর্ট করা উচিত, ব্লক করা উচিত প্রেককে। দেখা যাক, মেটা যা বলে, তা করে দেখায় কি না’। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।