Vivek Sahay: অপসারিত রাজীব কুমার, আপাতত রাজ্য পুলিশের ডিজি বিবেক সহায়

Lok Sabha Election 2024:অপসারিত রাজীব কুমার, আপাতত রাজ্য পুলিশের ডিজি বিবেক সহায়। রাজীব কুমারকে কমিশন সরানোর পরে আপাতত দায়িত্বে বিবেক সহায়।

Continues below advertisement

ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: অপসারিত রাজীব কুমার, আপাতত রাজ্য পুলিশের ডিজি হলেন বিবেক সহায়। এদিন রাজীব কুমারকে অপসারণের পাশাপাশি রাজ্যের পরবর্তী সবচেয়ে শীর্ষ আইপিএস অফিসারকে ডিজি পদে নিয়োগ করতে নির্দেশ দেয় জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী আপাতত বিবেক সহায়কে ডিজি পদে নিয়োগ করা হয়। কমিশনের তরফে যা বলা হয়েছিল,, তাতে পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বিবেক-ই রাজ্য পুলিশের ডিজি থাকছেন। তবে একই সঙ্গে রাজ্যের তিন জন আইপিএস অফিসারের নামও চেয়ে পাঠায় কমিশন।

Continues below advertisement

সেই নির্দেশ অনুযায়ী, ৩ আইপিএসের নাম পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। এঁদের মধ্যে একজন, আপাতত যিনি ডিজি হয়েছেন তিনি অর্থাৎ বিবেক সহায়। এর আগে পর্যন্ত ডিজি  হোমগার্ড ছিলেন ১৯৮৮ ব্যাচের এই আইপিএস। তা ছাড়া ডিজি-দমকল সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়েরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তিনি ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্য সচিব রাজেশ কুমারের নামও পাঠানো হয়েছে বলে খবর। ১৯৯০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। রাজ্যের পাঠানো ওই ৩জনের মধ্যে থেকেই একজনকে চূড়ান্ত করার কথা কমিশনের। শেষ পর্যন্ত বিবেক সহায়-ই রাজ্যের ডিজি থাকেন নাকি তালিকার বাকি দুজনের মধ্য়ে থেকে কাউকে বেছে নেওয়া হয়, তা অবশ্য সময়ই বলবে। তবে আপাতত, রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে রয়েছেন বিবেক-ই।

 

রাজীব কুমারের অপসারণ প্রসঙ্গে...
গত ২৭ ডিসেম্বর রাজ্য পুলিশের ডিজি পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রাজীব কুমার। এদিন তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দেয় কমিশন। ভোটের আগে ডিজিপি-র পদ থেকে সরানো হল তাঁকে। নিয়োগের ৩ মাসের মধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে অপসারিত হলেন তিনি। নির্দেশ অনুযায়ী, ভোটের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না রাজীব কুমার।এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এটা প্রত্যাশিত ছিল। রাজীব কুমারের নিয়োগের সময় থেকেই বিজেপি তার বিরোধিতা করেছিল।'রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সিপিএমেরও। সোমবার  রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, 'এটা তো স্বাভাবিক ও সঙ্গত। রাজীব কুমারকে যেদিন ডিজি করা হল, সেদিন সবাই বুঝেছিলেন, সবাই বলেছিলেন, আমরাও বলেছিলাম, ওকে তো নির্বাচনে কাজ করতে দেওয়া যাবে না, বিধিভঙ্গ...মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেনে বুঝে ওঁকে ডিজি করেছেন ডিসেম্বর মাসে, যাতে জানুয়ারি মাস থেকে মাসদুয়েক, ওই শাহজাহানদের সম্পত্তির কাগজপত্র, তথ্য লোপাট করাবার কাজে লাগানো যায়।'

আরও পড়ুন:প্রার্থীতালিকা প্রকাশ বামেদের, আপনার কেন্দ্রে তরুণ মুখ? না কি পুরনোতেই ভরসা বামের?

 

 

 

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola