কলকাতা: বসিরহাটের তেঁতুলিয়া হাই স্কুল মাঠে তৃণমূলের সভা। থিক থিক করছে ভিড়। তিনি মঞ্চে উঠতেই সবাই ফেটে পড়লেন উচ্ছাসে, হাততালিতে। রাজনীতির কথা বলতে, দলীয় বার্তা দিতেই মঞ্চে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সব ছাপিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠল তাঁর মানবিক আর্জি। দেব ওরফে দীপক অধিকারী। শুধু রাজনৈতিক কথা নয়, করোনা সতর্কতার বার্তা দিয়ে তিনি মন জিতে নিলেন সমর্থক থেকে শুরু করে তামাম নেটিজেনদের। 


রাজ্য জুড়ে চলছে নির্বাচন। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে সভা-সমিতি, রোড শো। প্রায় প্রত্যেক দলের সভাতেই উপচে পড়ছে ভিড়। নেতা নেত্রী থেকে শুরু করে সমর্থক, প্রায় কারও মুখেই মাস্ক নেই। সভার ভিড়ে শিকেয় দূরত্ববিধি। এদিকে চোখ রাঙাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রত্যেক দিনই মৃত ও আক্রান্তের সংখা টপকে যাচ্ছে আগের দিনের রেকর্ড। রোগী ভর্তি করতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কোভিড বেড ভর্তি। জায়গা হচ্ছে না মর্গেও। সায়েন্স সিটি, কিশোর ভারতী সহ বিভিন্ন স্টেডিয়ামকে সেফ হোম ও কোভিড সেন্টার বানানোর ভাবনা চলছে। হাসপাতালের চিত্রটাই বলে দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা। অথচ মানুষের মধ্যে সতর্কতার চিহ্নমাত্র নেই। 


আজ সভামঞ্চ থেকে দেব বলেন, 'যেখানে যেখানে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে অন্তত সেই জায়গাগুলিকে বাঁচান। লকডাউন না হলেও সেখানে কিছু কিছু করোনা সতর্কতা বিধি চালু করুন ও সেগুলিকে কঠোরভাবে মেনে চলুন। যাতে মানুষ বেঁচে থাকে, মানুষ যাতে ভালো থাকে এমন কাজ করুন। কে ক্ষমতায় আসবে তা আমরা ২ তারিখে দেখে নেব। কিন্তু তার আগে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে তাই না!' দেবের এই কথা শেষ হতে না হতেই সভাস্থল ফেটে পড়ে হাততালিতে। করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন সহ বিভিন্ন দলের কপালে যখন নির্বাচন ও প্রচার নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে, তখন নির্বাচনের আবহে মানুষকেই প্রাধান্য দিলেন দেব। 



রাজনীতির পাশাপাশি রুপোলি পর্দায় চুটিয়ে কাজও করছেন দেব। সম্প্রতি মুক্তি পেতে চলেছে তাঁর নতুন ছবি 'গোলন্দাজ'।