উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ঝিলম করঞ্জাই, ঋত্বিক মণ্ডল ও সোমনাথ দাস, ইন্দাস: বিজেপির রবিবাসরীয় প্রচারে ঝাঁঝ। একইদিনে দুই জেলায় প্রচারে মহাগুরু। ইন্দাস, চন্দ্রকোনা, কেশপুর থেকে ডেবরা---মোট চার জায়গায় পরপর রোড শো মিঠুনের। বললেন, ‘এতদিন পরিবর্তন হয়নি। এবার হবে। সোনার বাংলা হবে।’


তিনি মহাগুরু। বাংলা ও হিন্দি সিনেমার সুপারস্টার। বাঙালির আইকন। তিনি যেখানেই যান ভিড় ছেঁকে ধরে তাঁকে। দীর্ঘদিন পর শিবির বদলে ফের রাজনীতির ময়দানে মিঠুন চক্রবর্তী। আবারও জনপ্রিয় ডায়লগ মহাতারকার মুখে। বিজেপিতে যোগ দিয়েই নেমে পড়েছেন রাজ্যের হাইভোল্টজ বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে। বাদ নেই দোলের দিনও। বসন্তোৎসবের দিনেও একের পর এক চার-চারটি রোড শো করলেন মহাতারকা।


আজ দুপুরে বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে শুরু হয় তাঁর কর্মসূচি। এখানে বিজেপি প্রার্থী নির্মল ধাড়ার সমর্থনে পথে নামেন তিনি। জনতার উদ্দেশে হাত নাড়লেন তারকা। পাল্টা হাত নেড়ে অভিবাদন জানাল জনতাও। মিঠুনের বার্তা, ‘এবার পরিবর্তন হবে, সোনার বাংলা হবে, ৬ মাসের মধ্যে বাংলার উন্নতি হবে। প্রথম দফার ভোট দেখে বোঝা যাচ্ছে সরকার বদলাচ্ছে।’


২ কিলোমিটার রোড শোয়ে অংশ নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের উদ্দেশে উড়ে যায় অভিনেতার হেলিকপ্টার। আকাশে চক্কর কাটছে হেলিকপ্টার। কিন্তু কখন কাছে আসবেন অভিনেতা, তারই অপেক্ষায় অগুনতি মানুষ।


২০১০ সালে শেষবার কেশপুরে এসেছিলেন মিঠুন। তখন প্রচার করেছিলেন তৃণমূলের হয়ে। তবে মাঝে পেরিয়ে গেছে দশটা বছর। বদল এসেছে রাজনৈতিক সমীকরণের। মিঠুন এখন বিজেপির এক নম্বর তারকা প্রচারক। এদিন কেশপুরে সাড়ে ১২ মাইল থেকে রোড শো শুরু করেন মিঠুন। ঠিক ছিল ২ কিলোমিটার রোড শো করবেন তিনি। তবে অন্য কর্মসূচি থাকার করার জন্য মাঝপথে নেমে যান মিঠুন। তাঁকে দেখতে, উপচে পড়া ভিড়। কাতারে কাতারে মানুষ। কারোর মাথায় আবির, কারোর মুখে মুখোশ। গত লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে বিজেপি ভাল ফল করলেও, কেশপুর কেন্দ্রে প্রায় ৯২ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়েছিল বিজেপি। কেশপুর ঘুরলে বিজেপির উপস্থিতিও কম। শিউলি সাহার হোর্ডিং-পোস্টার ভর্তি। মিঠুনকে সামনে রেখে জনজোয়ার কেশপুরের রাস্তায়।


চন্দ্রকোণা বিধানসভার রামজীবনপুরে প্রার্থী শিবরাম দাসের সমর্থনে যান মিঠুন। জারা থেকে রামজীবনপুর পর্যন্ত রোড শো করার কথা ছিল তাঁর। ৮ কিমির বদলে ২ কিমি রোড শো করে কেশপুরে চলে যান তিনি।