কলকাতা: কোভিড পরিস্থিতিতে কীভাবে ভোট? বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠক ।  বৈঠক শেষে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন,'নির্বাচনের দফা কমানোর সম্ভাবনা নেই।সম্ভবত ৮ দফাতেই নির্বাচন হবে। এখন ভার্চুয়াল সভা সম্ভব নয়'।


বৈঠক শেষে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, বিজেপির তরফে সমস্ত কোভিড বিধি মেনে চলা হবে। ভোটগ্রহণের আগে সমস্ত ভোটারদের থার্মাল টেস্ট করানোর কথাও আলোচনা করা হয়েছে। বিজেপির তরফে কমিশনে আবেদন করা হয়েছে যাতে প্রচারের ক্ষেত্রে সমস্ত দলগুলির জন্য একই নিয়ম নির্ধারিত হয়। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করবেন বলেও জানানো হয় বিজেপির তরফে।


অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি বলেছেন, 'কোভিড মেনে প্রচার করা হবে। দফা কমানো নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।  প্রচারের ব্যাপারে কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে চলব।'


কিন্তু মিটিং-মিছিল নিয়ে কমিশনের নির্দেশিকা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা তৃণমূল মেনে চলছে না বলে অভিযোগ করেছেন সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধি রবিন দেব।


অন্যদিকে, বাকি চার দফার ভোট এক বা দু দফায়  হলে তাদের আপত্তি নেই। এ কথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্তদের প্রত্যেকেরই সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে দায়িত্ব রয়েছে।


উল্লেখ্য, এদিন সর্বদল বৈঠকের আগে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট কমিশনকে নির্দেশ দেয় যে,  করোনা আবহে ভোট করাতে হলে শুধুমাত্র পুলিশের উপর ভরসা রাখলেই চলবে না। এ বিষয়ে  রাজনৈতিক দলগুলি তো বটেই সাধারণ মানুষও যাতে তাঁদের দায়িত্ব পালন করেন, তা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যে রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা। এর মাঝেই ভোটপর্বের জন্য রাজ্যের একাধিক জায়গায় চলতে থাকা মিটিং, মিছিল, সভা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে তুলেছে সব মহলে। কারণ রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ কোথাও দেখা মিলছে না নূন্যতম কোভিড বিধি মেনে চলা, মাস্ক, শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকছে না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রচারেই।


গত শুক্রবার কমিশনের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলি কোভিড নির্দেশিকা না মানলে প্রয়োজনে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করে দিতে পারে কমিশন। হাইকোর্টেও করোনা পরিস্থিতির মাঝে মিটিং-মিছিলে রাশ টানার আবেদন জানিয়ে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।


যেখানে পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক দলগুলি যদি কোভিড বিধি মেনে তাদের মিটিং-মিছিল না করে সেক্ষেত্রে কোথাও গিয়ে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার দায়ী থাকবেন। হাইকোর্টের যে পর্যবেক্ষণের পরই দ্রুত পরিস্থিতি বিবেচনা করে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় কমিশন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক প্রার্থীর। আক্রান্ত আরও কয়েকজন। গতকালই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। 
এদিন আরও এক প্রার্থী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। চুঁচুড়ার তৃণমূল প্রার্থী অসিত মজুমদার করোনা আক্রান্ত বলে খবর। আক্রান্ত তাঁর গাড়ির চালকও। প্রার্থীর অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।


এখন কমিশন কী জানায়, সেদিকেই নজর সকলপক্ষের।