কলকাতা: ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার সময় জয় শ্রীরাম স্লোগানের ঘটনায় ট্যুইট করলেন মেগা সিরিয়ালে রাম চরিত্রের অভিনেতা অরুণ গোভিল। রামায়ণ সিরিয়ালের অভিনেতা লেখেন, কেন কিছু লোক শ্রীরামের নাম শুনে বিরক্ত হয়? শ্রীরাম প্রতিটি মানুষের আদর্শ, তাঁর জীবন সকলকে অনুপ্রেরণা জোগায়। রামের বিরোধিতা মানে মানবজাতির বিরোধিতা করা। এই দেশে কেউ আছে যে রামের নাম শোনেনি? ট্যুইটে লেখেন অরুণ গোভিল।

গতকাল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালনের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনেই। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য পেশ করার জন্য মঞ্চে উঠতেই দর্শকাসন থেকে ভেসে আসে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান। এই স্লোগান থামানোর অনুরোধ করেন আয়োজকরা। কিন্তু এই স্লোগানে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কাউকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এভাবে অপমান করা যায় না। এটা রাজনৈতিক নয়, সরকারি অনুষ্ঠান। সরকারি অনুষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা উচিত। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়। কলকাতায় এই অনুষ্ঠান করার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী ও সংস্কৃতি মন্ত্রককে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু প্রতিবাদ জানিয়ে আমি বক্তব্য রাখছি না।’ এরপর ‘জয় হিন্দ, জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে মঞ্চ ছেড়ে নিজের আসনে গিয়ে বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল। বাম-কংগ্রসও ঘটনার সমালোচনা করেছে। যদিও বিজেপি নেতারা এই ঘটনায় মমতাকে কটাক্ষ করেছেন। এবার অরুণ গোভিলও এ ব্যাপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানালেন।

এ ব্যাপারে রাজ্যর মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সরকারি কোনও অনুষ্ঠানকে যদি ছ্যাবলামির জায়গা করে নেওয়া হয়, অতিথিতে ডেকে যখন অপমান করা হয়, তখন নিশ্চিতভাবে আপত্তি রয়েছে। কারণ, রাজনীতির জন্য রামকে রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এভাবে রামের অবমাননা করা হচ্ছে, সম্মান হরণ করা হচ্ছে। কাল তো জয়-হিন্দ-এর দিন ছিল। সেখানে জয় শ্রীরাম স্লোগানের কী তাৎপর্য? মন্দিরে বা বাড়িতে জয় শ্রী রাম বললে আপত্তির কোনও কারণ নেই। কিন্তু এভাবে রাজনীতির জন্য রাস্তায় নামানো হল, নিশ্চিতভাবে আপত্তি রয়েছে।