রুমা পাল, কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা বরদাস্ত নয়। আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারে বাহিনী। সূত্রের খবর, দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। এদিকে দ্বিতীয় দফার ভোটে মোতায়েন থাকবে ৬৫১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।


দ্বিতীয় দফায় ভোটের আগে আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। প্রথম দফা ভোটের আগের দিন অর্থাত্‍ ২৬ মার্চ রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের আড়গোয়াল গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া বোমায় আহত হন পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ানও।সূত্রের খবর, সেই ঘটনার পরই নির্বাচন কমিশন কড়া নির্দেশ দিয়েছে।


ভবিষ্যতে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হয়, তাহলে আত্মরক্ষার স্বার্থে যা ব্যবস্থা নেওয়ার বাহিনী নেবে। প্রয়োজনে গুলিও চালাতে পারে বাহিনী। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের তরফে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই কোনও ধরনের ঝামেলা-অশান্তি সহ্য করা হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হলে বাহিনীও চুপ করে বসে থাকবে না। অন্যদিকে নির্বাচন নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফা ভোটে ৪ জেলার ৩০টি আসনে ভোটগ্রহণের জন্য ৬৫১ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।


এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১০ কোম্পানি।পূর্ব মেদিনীপুরে ১৯৯ কোম্পানি। বাঁকুড়ায় ১৭০ কোম্পানি। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭২ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।দ্বিতীয় দফার ভোটে সবচেয়ে নজরকাড়া কেন্দ্র পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম। এখান থেকেই লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও। এই হাইপ্রোফাইল কেন্দ্রের ৩৪১ টি বুথের নিরাপত্তায় থাকছে ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অশান্তি এড়াতে এখানে আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে।নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।