সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, হুগলি: পতাকা লাগানো নিয়ে বিবাদ। হুগলির সিঙ্গুরে দুই বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও শাসকদলের দাবি, ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। এদিকে, গণ্ডগোলের ঘটনায় দু’পক্ষের ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


নির্বিঘ্নে নির্বাচন করতে একগুচ্ছ দাওয়াই দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তা সত্ত্বেও ভবি যে ভুলবার নয়, আরেকবার তার প্রমাণ মিলল।এবার রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘটল হুগলির সিঙ্গুরের দিয়াড়া-দুলেপাড়া এলাকায়। মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে দুই বিজেপি কর্মী সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রবিবার বিকেলে তাদের দুই কর্মী পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেইসময় তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী বাঁশ-লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।


সঙ্গে সঙ্গে দুই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত দুই কর্মীকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে যান সিঙ্গুরের বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তবে এই ঘটনায় রাজনীতি-যোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। সিঙ্গুরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া বলেন, ‘‘কল ব্যবহার করা নিয়ে দু’পক্ষের গন্ডগোল হয়েছে, আমাদের এক কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ৷’’ গণ্ডগোলের ঘটনায় দু’পক্ষই সিঙ্গুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এখনও পর্যন্ত উভয়পক্ষের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।


উল্লেখ্য, বেহালা পূর্ব, বিধাননগর এবং রাজারহাট নিউটাউন, এই তিন কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্ধীদের পোস্টার ছেঁড়া হয়েছে রাতের অন্ধকারে।  আজ সকালে ঘটনাটি তৃণমূল কর্মীদের চোখে পড়ে।  শুধু দলীয় প্রার্থীদের পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল।  অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। 


এদিকে কলকাতার তিন বিধানসভা সভা কেন্দ্রের তিন জায়গায় পোস্টার, হোর্ডিং ছেঁড়াকে ঘিরে উত্তেজনা। তিন জায়গাতেই রাতের অন্ধকারে ছেঁড়া হয়েছে শুধু তৃণমূলের পোস্টার। অন্য দলের পোস্টার, হোর্ডিংয়ে হাত পড়েনি। বেহালা পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের ১২২ নম্বর ওয়ার্ডে  ওস্তাদ আমির খাঁ সরণি  থেকে শুরু করে অরবিন্দ পল্লি পর্যন্ত  প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তায়  ছেঁড়া হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টার। সোমবার সকালে বিষয়টি স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের চোখে পড়ে। ওই রাস্তায় বিজেপি বা সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীর পোস্টার, হোর্ডিং অবশ্য অক্ষত। ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল।