বাগদা: নির্বাচন কমিশন জানাল বাগদায় গুলি চলেছে। কমিশন জানিয়েছে,  প্রথমে বাগদার সেক্টর অফিসে হামলা হয়। হামলা করে একটি রাজনৈতিক দলের শতাধিক কর্মী। ওসির নেতৃত্বে এলাকায় পুলিশ গেলে বচসা বাঁধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে এলাকা বাসী। কমিশনের মতে হামলাকারীদের হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র। ছত্রভঙ্গ করতে তিন রাউন্ড গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হন এক ব্যক্তি। আহত বাগদার ওসি সহ তিন পুলিশকর্মী।


শীতলকুচির ছায়া এবার উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। ফের ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগ! তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, এখানে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের বিরুদ্ধে! আর এই ঘটনা ঘিরেই ষষ্ঠ দফার ভোটের একেবারে শেষ লগ্নে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় বিগদা বিধানসভার রণডাঙা এলাকায়। 


বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাগদা বিধানসভার রণডাঙার একাধিক জায়গায় বিজেপির ক্যাম্প অফিস এবং বিজেপি কর্মীদের দোকানে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এরপর সাড়ে ১২টা নাগাদ ৩৫ ও ৩৬ নম্বর বুথের বাইরে এসে ফের বেধড়ক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযোগ হুমকি দেওয়া হয় গ্রামবাসীদের। '' পুলিশ হুমকি দেয়, যার বাড়ির উঠোনে বিজেপির ক্যাম্প অফিস হয়েছে, তাকে মামলা দেবে...লাঠিচার্জ করে...মারে....''


প্রতিরোধ গড়ে তোলেন গ্রামবাসীদের একাংশ! তখন থেকেই উত্তেজনা বাড়ছিল! গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দুপুর তিনটে নাগাদ ফের ৩৫ নম্বর বুথ এলাকায় ঢোকে ১০-১২ গাড়ি পুলিশ।এরপরেই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে!
দেখা যায়, রাস্তায় রক্ত পড়েছিল....পাশেই একটা পুলিশের টুপি পড়ে রয়েছে....উল্টে দেখাচ্ছে সেটা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের টুপি। 


গ্রামবাসীদের দাবি, গুলিবিদ্ধ হন তিনজন। তাঁদেরই একজন মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা! তিনি বলেন, '' মাঠ থেকে ফিরছিলাম। পুলিশ গুলি চালিয়েছে...আমি কোনও দল করি না । ''

আরও এক আহত বলেন, পুলিশ গুলি চালিয়েছে.। কেউ আবার বলেন, আমরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছি। যদি ফের পুলিশ গুলি চালিয়ে দেয়। 


কিন্তু কেন গুলি চালাল পুলিশ? এ নিয়ে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপার তরুণ হালদারকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি!
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর!


'' পুলিশ এখানে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। ১০ রাউন্ড গুলি চলেছে। ৫ জন আহত'' অভিযোগ তৃণমূলের। বাগদার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।