আশাবুল হোসেন ও সন্দীপ সমাদ্দার, খড়গপুর: প্রথম দফার ভোটে ইভিএমে গরমিলের অভিযোগ তুলছে তৃণমূল। খড়গপুরের জনসভা থেকে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে পাল্টা দাবি করেছেন শিশির অধিকারী।


জিতলেই 'হল অফ ফেম'! হারলেই, 'শেম শেম!' বঙ্গভোটে ইভিএম যেন ট্র্যাজিক হিরো! ভোট ঘোষণার পর, প্রায় প্রতি সভা থেকেই ইভিএম নিয়ে দলের কর্মী-নেতাদের সতর্ক করছেন তৃণমূলনেত্রী। আর, প্রথম দফার ভোটের দিন ইভিএম নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভোট দিচ্ছে তৃণমূলে, আর পড়ছে বিজেপিতে। জঙ্গলমহলের মানুষ ভোকাট্টা করে দেবে।


শিশির অধিকারী বলেন, ভাং খেলে যেমন অবস্থা হয়,মনে হয় সাত তলা থেকে পড়ে যাচ্ছি, তাই ওরকম অবস্থা। বিজেপি আসছে, তাই দেখছে, ভিত্তিহীন অভিযোগ, পোলিং এজেন্টরা বললেন না কেন? সব নাটক। 


তৃণমূলের প্রতীকে বোতাম টিপলেই, ভোট যাচ্ছে বিজেপির ঘরে। প্রথম দফার ভোটে কাঁথি দক্ষিণ ও পুরুলিয়ায় এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। এমনকী ইভিএম খারাপ হওয়ার নেপথ্যেও চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী। পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যেখানে যেখানে তৃণমূল এগিয়ে, সেখানে সেখানে ইভিএম খারাপ।’’


প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিন সকালেই  ইভিএম কারচুপির অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল কাঁথি দক্ষিণ বিধানসভার মাজনায়। মাজনা হাইমাদ্রাসা-র ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, ইভিএমে জোড়াফুলে বোতাম টিপলেই, ভোট যাচ্ছে পদ্মে।


একই অভিযোগ ওঠে পাশের ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মাজনা প্রাইমারি স্কুলেও! অর্থাত, ইভিএমে তৃণমূলের প্রতীকে বোতাম টেপা হলেও, ভিভিপ্যাট মেশিনে দেখা যাচ্ছে ভোট যাচ্ছে বিজেপিতে! সেখানেও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।


বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সেক্টর অফিসার। নির্বাচন কমিশনের তরফে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়। টেস্ট ভোট করানোর পর ফের এই বুথগুলিতে ফের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। 


নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে তৃণমূলের তরফে টুইট করে বলা হয়, এটা কী চলছে? নির্বাচন কমিশন ব্যাখ্যা করুক, কীভাবে মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে ভোটদানের হার অর্ধেকেরও বেশি কমে গেল? এটা বিস্ময়কর!


নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে,এটা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের অনিচ্ছাকৃত ভুল। সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক করে দেওয়া হয়।