খড়্গপুর : প্রার্থী হননি। লড়ছেন না বিধানসভা নির্বাচনে। তবে না থেকেও ভোটের আবহে ভালোমতোই আছেন দিলীপ ঘোষ। চেনা মেজাজে রাজ্যের শাসকদলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি ছুড়ে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলে রাখলেন জঙ্গলমহলে খাতা খুলতে পারবে না তৃণমূল।


সকাল থেকেই রাজ্যের পাঁচ জেলা থেকেই একাধিক গন্ডোগোলের খবর পাওয়া গিয়েছে। একাধিক জায়গায় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপির কর্মীরা তাদের মারধর করেছেন, ভোট দিতে বাধা দিয়েছেন। যে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ ঘোষের সাফ কথা, ‘মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে বাইরে বেরিয়ে এসে ভোট দিচ্ছে, এমনি কোনও অভিযোগ নেই, আর কিছু লোক রয়েছে যারা শুধু অভিযোগই করছেন। দেখানোর চেষ্টা করছে বড় গন্ডোগোল হচ্ছে। বলছে নাকি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী তো রয়েছে, তাদের কাছে কেন অভিযোগ করছে না এমন কিছু হয়ে থাকলে।‘


ইভিএমে কারচুপি, সিপিআরপিএফের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা গ্রহণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে বলার পাশাপাশি কমিশনের অফিসে গিয়ে রাজ্যের শাসকদলের এক প্রতিনিধিদল নালিশ জানিয়ে এসেছে। যে নিয়ে জানতে চাইলে দিলীপ ঘোষের সংযোজন, ‘যারা হারছে তারা এসব করে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। জঙ্গলমহলে ওরা খাতাই খুলতে পারবে না।’


শালবনীতে সংবাদমাধ্যমের ওপর তৃণমূল কর্মীদের হামলার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সংবাদমাধ্যম, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীও এখন ওদের নিশানায়। কারণ বুঝতে পেরেছে চেনা ছকে ভোটলুটে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে এরা। তাই গালাগালি দেওয়া আর হিংসা করা ছাড়া কোনো রাস্তা নেই ওদের কাছে।'


শনিবার সকাল সকালই খড়গপুর শহরে নিজের বাড়ি লাগোয়া শিব মন্দিরে পুজো দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।  ঈশ্বরের কাছে সোনার বাংলা গড়ার প্রার্থন করেছেন জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, প্রভু তো জানেন আমরা তাঁরই কাজ করছি। মহাদেব আমাদের কুলদেবতা। আমার বাড়িতেও শিবমন্দির আচে, বাড়ি যাব, সেখানেও পরে পুজো দেব।