কাঁথি: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটে অশান্তি।  কাঁথির সাবাজপুটে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত গাড়ি চালক। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রশাসক। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপর সৌমেন্দুও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।


সৌমেন্দু অধিকারী বলেছেন, সাবাজপুট বুথে রিগিং করছিল তৃণমূল। সেখানে যেতেই গাড়িতে হামলা চালানো হয়। 


গাড়ির চালকের অভিযোগ, গাড়িতে পাথর দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁকে মারধর করা হয়।  তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে সৌমেন্দু ভোট কেন্দ্রের দিকে যাওয়ার পরই হামলা চালানো হয়। ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। 


 সৌমেন্দুর গাড়ির চালক গোপাল সিংহ বলেন, ‘আমাকে টেনে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে মেরেছে। সৌমেন্দু বুথে ছিল বলে ওকে মারতে পারেনি। চিৎকার করছিল। বলছিল, ওঁকেই মার। এখানকার তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট আমাদের নির্বাচনী এজেন্টকে মেরে উঠিয়ে দিয়েছে। সেই খবর পেয়েই এসেছিলাম আমরা।’


বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বে হামলা চলে। ঘটনাস্থলে দেখা যায় তাঁকে। কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, ছাপ্পা ভোট, বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামগোবিন্দ দাস এই কাজ করছিল। আর বাধা দেওয়াতেই প্রতিহিংসার জন্য এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ সৌমেন্দুর।


ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ পেয়ে সকাল ১১টার কিছু পরে সাবাজপুটে পৌঁছন সৌমেন্দু অধিকারী। সেখানে সম্বোধি শিক্ষাতীর্থ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকেন কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অরূপ দাসের নির্বাচনী এজেন্ট। অভিযোগ, এরপরই তাঁর গাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর, এই প্রথম অধিকারী পরিবারকে ছাড়াই ভোটে নেমেছে তৃণমূল। আর ভোট শুরু হতেই, খাস কাঁথিতেই আক্রমণের মুখে পড়লেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। যদিও এই হামলায় তারা কোনওভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব।