কলকাতা: বরানগরের প্রচার সভা থেকে হুঙ্কার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে ভোট চলাকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘শীতলকুচিতে দুষ্টু ছেলেরা গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা থাকবে না বাংলায়।কেউ আইন হাতে নিলে এটা সারা বাংলায় হবে।১৭ তারিখও কেন্দ্রীয় বাহিনী বুথে থাকবে।কেউ বাড়াবাড়ি করলে, জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।’
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, সেন্ট্রাল ফোর্স হাতে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে আসেনি। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়।তিনি বলেছেন, এই মন্তব্য অত্যন্ত অসংবেদনশীল। এতে বিজেপির মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, দিলীপ ঘোষের কথার প্রতিক্রিয়া দেওয়া যায় না। এ ধরনের মন্তব্য করে আসলে বিভাজনের কৌশল নিয়েছেন। মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার বিষয়গুলি থেকে নজর ঘোরাতেই এ ধরনের কথাবার্তা দিলীপ ঘোষ বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
এর আগে শীতলকুচির ঘটনায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, উনি পাপ করছেন, অন্যায় করছেন। মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। প্রচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মমতার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ওনার কথা না শুনলেই সে বিজেপি হয়ে যাবে। পুলিশও এখন বিজেপি হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্যায়ের ভোট চলাকালে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে। পাল্টা বিজেপি এই ঘটনার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছে। গতকাল রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।