কলকাতা: বিধানসভায় শপথ নিয়েও নীরব বিজেপির নবনির্বাচিত বিধায়ক মুকুল রায়। জল্পনা বাড়িয়ে বললেন, ‘ যা বলার পরে ডেকে বলব’। এদিন বিজেপির নব নির্বাচিত পরিষদীয় দলের বৈঠকে থাকবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুকুল রায় থাকছেন না বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও। তিনি বৈঠকের আগেই বিধানসভা ছাড়বেন।
এদিন শপথ গ্রহণ পর্বে তাঁর শুভেচ্ছা বিনিময় হয় তৃণমূলের সুব্রত বক্সির সঙ্গে। আজ মুখ খুললেন না। আগামীদিনে কী বলবেন মুকুল? রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
এবার কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপির সহ সভাপতি। তবে ভোটের সময়ে নিজের কেন্দ্রে প্রচার ছাড়া সেভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি মুকুলকে।
একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড বলেই মনে করা হত মুকুলকে। তিনি তৃণমূল ছাড়ার পর তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকবারই জল্পনা ছড়িয়েছে।
এবার ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা দল ছেড়েছিলেন। ভোটের প্রচারে দলত্যাগীদের নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। একটি প্রচার সভায় শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁর মুখে উঠে এসেছিল এক সময়ের নির্ভরযোগ্য সহকর্মী মুকুলের নাম। তৃণমূল নেত্রী বলেছিলেন, শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো। ও অন্তত এমন বিশ্বাসঘাতকতা করেনি, যা এরা করেছে।
তৃণমূল নেত্রীর মুখে হঠাৎ এভাবে মুকুলের নাম শোনা যাওয়ার পরও জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে সহজেই জিতেছেন মুকুল। তবে বীজপুর কেন্দ্রে তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু জিততে পারেননি।
ভোটের ফল বেরোনোর পর বিজেপি বিভিন্ন নেতারা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানালেও মুকুলের কোনও বক্তব্য এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি।
বিধানসভায় চলছে নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ পর্ব। শপথ গ্রহণের পর বিজেপির বিধায়করা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু মুকুল কোনও কথাই বললেন না এদিন।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ২১৩ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ৭৭ আসন।