সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নিমতা, পানিহাটির পর নিউ ব্যারাকপুর। এবার বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বিলকান্দা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোদাই ঘোষপাড়া এলাকায়। অভিযোগ, স্বামী বিজেপি করায় বাড়িতে চড়াও হয়ে ওই মহিলাকে মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি কর্মীর পণ্যবাহী গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। নিউ ব্যারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, গাড়ি চালকের সঙ্গে বিজেপি কর্মীর বিবাদের জেরে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মহিলাকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাস-ফুল শিবির।


গত শনিবার রাতে বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের মহিলা সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনা পানিহাটির বাড়িতেও চলে ভাঙচুর। আক্রান্ত বিজেপি কর্মী ও তাঁর আত্মীয়কে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে প্রথমে আরজি কর ও পরে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটে পানিহাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের এঙ্গেলস নগরে। বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, এলাকায় পোস্টার লাগানো নিয়ে গন্ডগোলের জেরে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মী ও তাঁর পরিবারের মহিলা সদস্যকে মারধরের পাশাপাশি, ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। রাতেই ঘটনাস্থলে যায় খড়দা থানার পুলিশ। বিজেপির বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। শনিবার পানিহাটি জুড়ে খেলা হবে স্লোগান দিয়ে অরাজনৈতিক ব্যানারে মিছিল হয়। বিরোধীরা অভিযোগ করে, খেলা হবে স্লোগানকে সামনে রেখে ভয়ের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল। তারপরই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে।


নিমতা, পানিহাটি, এবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি নিউ ব্যারাকপুরে। উল্লেখ্য, গতমাসের শেষের দিকে নিমতায় বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর অশীতিপর বৃদ্ধা মাকে বেপরোয়া মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিমতা পাটনা স্কুল রোডে ঘটনাটি ঘটে। আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তিনজন তৃণমূলকর্মী তাঁদের বাড়িতে ঢুকে প্রথমে তাঁর ওপর এবং পরে তাঁর মায়ের ওপর হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল কর্মীরা বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী। ঠিক সেই সময় বাধা দিতে যান ওই বিজেপি কর্মীর মা। অভিযোগ বৃদ্ধা মাকেও মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। সংবাদ সংস্থাকে তিনি জানিয়েছিলেন, আমাকে ছেলেকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করছিল। আমাকেও মেরেছে। ঘাড়ে ধাক্কা দিয়েছে।