সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ দিয়েছে, পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা যাবে না। সেইমতো, সরানো হয়েছে গোবরডাঙা পুরসভার প্রশাসককেও। এই পরিস্থিতিতে পুরসভা থেকে নথি লোপাটের আশঙ্কা করছে বিজেপি। নজরদারির জন্য নিজেরাই সিসিটিভির ব্যবস্থা করেছে।
প্রশাসক-শূন্য পুরসভায় পাহারাদার বিজেপি! নজর রাখতে, নিজেদের উদ্যোগে পুরসভার বাইরে সিসিটিভি বসালো গেরুয়া শিবির। উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভার ঘটনা। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে,
রাজ্যের পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা যাবে না। যেসব পুরসভা বা কর্পোরেশনের মেয়াদ ফুরনোর পর, বিদায়ী চেয়ারম্যান বা মেয়র বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের সরিয়ে সরকারি অফিসারদের সেই পদে নিয়োগ করতে হবে ৷ সেই নির্দেশমতো, এখন তাই প্রশাসকশূন্য গোবরডাঙা পুরসভা। পুরসভার গুরুত্বপূর্ণ নথি যাতে এদিক ওদিক না হয়, তা নজর রাখতে, উল্টোদিকের বিল্ডিংয়ে সিসিটিভি বসিয়েছে বিজেপি। এছাড়াও পুরসভার দিকে সবসময় কড়া নজর রাখছেন বিজেপি কর্মীরা।
গোবরডাঙার বিজেপির মণ্ডল সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে যা থেকে পূর্ববর্তী পৌরসভার কোনও অপকর্ম কিংবা কুকীর্তি বেরিয়ে আসতে পারে। যতক্ষন না নির্বাচন কমিশন নতুন প্রশাসক নিযুক্ত করে কতসময় সিসি টিভি প্রহরা চলবে।’’
তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, নজরদারির নামে, পুরসভার সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। গোবরডাঙা এলাকাটি গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ২২ এপ্রিল এই কেন্দ্রে ভোট। এখানে তৃণমূল প্রার্থী করেছে নরোত্তম বিশ্বাসকে।তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির সুব্রত ঠাকুর। সংযুক্ত মোর্চার সমর্থনে এখানে কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরকে প্রার্থী করেছে সিপিআই।
উল্লেখ্য, কলকাতা, বিধাননগর সহ রাজ্যের ৫ পুরসভাতেও প্রশাসক বদল হয়েছে গতকাল। নির্বাচন কমিশনের সুপারিশমতো মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি গতকাল এক নির্দেশিকায় প্রশাসক বদলের কথা জানায়। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বদলে আইএসএস অফিসারদের নিয়োগ করা হয়েছে প্রশাসক পদে।