কলকাতা: ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর হামলা হলেই গুলি চলবে। কমিশনের প্রতিনিধি আমার কথাই বলছেন’। নিষেধাজ্ঞা উঠতেই ফের হুঙ্কার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার।

   তিনি বলেছেন, ‘বিবেক দুবে বলে দিয়েছেন, বাহিনীর ওপর হামলা হলে গুলি চলবে। অর্থাৎ, আমার কথাই বলছেন বিবেক দুবে।    বাহিনীর ওপর হামলা হলে গুলি চালানোই উচিত’।


  এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা তথা প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, নির্বাচন কমিশন  নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরও   কোথাও গরু নিয়ে চাষবাস করেছেন, কোথায় দোকানে দোকানে গিয়ে ভোট চেয়েছেন রাহুল সিনহা। এই বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছে। উত্তেজনামূলক কথা বলছেন বিজেপি প্রার্থী। এভাবে তিনি নির্বাচন কমিশনকেই কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছেন।


উল্লেখ্য, শীতলকুচির ঘটনায় মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার ভোটের প্রচারে গত মঙ্গলবার   ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা  জারি করে নির্বাচন কমিশন।গত মঙ্গলবার ১২ টা থেকে ১৫ এপ্রিল, অর্থাৎ আজ বেলা ১২ টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল।‘কেন্দ্রীয় বাহিনীকে উস্কানি’ ও প্ররোচণামূলক মন্তব্যের কারণেই রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন।সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরই বিজেপির এক প্রচার সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন রাহুল সিনহা।


শীতলকুচিতে গত শনিবার রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্যায়ের ভোট চলাকালে একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে রাহুল সিনহা বলেছিলেন, যারা বুথ দখল করতে চাইছে, ভোটে অনিয়ম ঘটাতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, চার জন কেন, আট জনকে গুলি করলেও ক্ষতি ছিল না।


উল্লেখ্য, সংখ্যালঘু ভোট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে মন্তব্যেরে জেরে সম্প্রতি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কমিশন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষের মতো বিজেপি নেতাদের বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে কমিশন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়।