কৃষ্ণেন্দু অধিকারী পূর্ব মেদিনীপুর: নিজের গড়েই আক্রান্ত সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথি দক্ষিণের সাবাজপুটে বিজেপি নেতার গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত গাড়ি চালকও। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।


শুধু গাড়ি নয়, আক্রমণের হাত থেকে রেহাই মেলেনি সৌমেন্দুর গাড়ির চালকেরও। সৌমেন্দুর গাড়ির চালক গোপাল সিংহ বলেন, ‘আমাকে টেনে নিয়ে গিয়ে পাথর দিয়ে মেরেছে। সৌমেন্দু বুথে ছিল বলে ওকে মারতে পারেনি। চিৎকার করছিল। বলছিল, ওঁকেই মার। এখানকার তৃণমূল ব্লক প্রেসিডেন্ট আমাদের নির্বাচনী এজেন্টকে মেরে উঠিয়ে দিয়েছে। সেই খবর পেয়েই এসেছিলাম আমরা।’


বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামগোবিন্দ দাসের নেতৃত্বে হামলা চলে। ঘটনাস্থলে দেখা যায় তাঁকে। কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, ছাপ্পা ভোট, বিরোধীদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছিল না। স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামগোবিন্দ দাস এই কাজ করছিল। আর বাধা দেওয়াতেই প্রতিহিংসার জন্য এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ সৌমেন্দুর।


খাসতালুকেই শুভেন্দুর ছোট ভাইয়ের গাড়ি চুরমার। চূর্ণ-বিচূর্ণ গাড়ির কাচ। উইন্ডস্ক্রিন থেকে জানলা, কোনও কাচই আর আস্ত নেই। তুবড়ে গিয়েছে গাড়ির বিভিন্ন অংশ। না, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। বিজেপি নেতা তথা, কাঁথির অধিকারী পরিবারের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর গাড়িতে হামলার জেরেই এই ঘটনা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সৌমেন্দুর পুরনো দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


আর এনিয়ে ভোটের সকালে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি  দক্ষিণের সাবাজপুটে। ভোটারদের ভোট দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ পেয়ে সকাল ১১টার কিছু পরে সাবাজপুটে পৌঁছন সৌমেন্দু অধিকারী। সেখানে সম্বোধি শিক্ষাতীর্থ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকেন কাঁথি দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী অরূপ দাসের নির্বাচনী এজেন্ট। অভিযোগ, এরপরই তাঁর গাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।


২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর, এই প্রথম অধিকারী পরিবারকে ছাড়াই ভোটে নেমেছে তৃণমূল। আর ভোট শুরু হতেই, খাস কাঁথিতেই আক্রমণের মুখে পড়লেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। যদিও এই হামলায় তারা কোনওভাবেই জড়িত নয় বলে দাবি করেছে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব।