পার্থপ্রতিম ঘোষ, ভগবানপুর: ভগবানপুর বিধানসভার গাজিপুরে তৃণমূল ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কেঁদে ফেলেন ভোটাররা। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভোট দিয়েছি বলে ঘর ভেঙে দিয়েছে বিজেপি।


স্থানীয়দের কথায়, আমাদের ভোট দিতে বারণ করে গিয়েছিল বিজেপি। কারণ আমরা তৃণমূল করি। ভোট দিতে গিয়েছি বলে ঘর ভেঙেছে। এর আগে চার বার বোমা মেরেছে বলে অভিযোগ তোলে। আনন্দ দলুই নামে স্থানীয় বিজেপি নেতা এবং তাঁর দলবল এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল কর্মীরা।


এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী জানিয়েছে, ভোটারদের বললেও যেতে চাইছেন না। এক জওয়ান বলেন, ওঁদের বারবার বলছি। কিন্তু যেতে চাইছেন না ওঁরা। এদিকে ভোট দিতে গেলে ঘর ভাঙবে বলে হুমকি। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে রাতে বাড়িতে হামলা হবে বলে আশঙ্কা ভগবানপুরের গাজীপুরের বাসিন্দাদের। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


পাল্টা বিজেপির দাবি, কেউ বাধা দেয়নি। জমায়েত করে বিজেপির দাবি হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। 


দক্ষিণ কাঁথির মাজনায় ভোটারদের বিক্ষোভ। বিক্ষোভ ভোটদাতাদের।যে দলের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন সেখানে ভোট পড়ছে না। অভিযোগ ভোটদাতাদের। ভোটদাতাদের একাংশের অভিযোগ, ইভিএমে  ভোট দিলেই তা বিজেপিতে পড়ছে। সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর মাজনায় ১৭২ নম্বর বুথে শুরু ভোটগ্রহণ শুরু হয়।


ভোটকেন্দ্রের দরজা বন্ধ রাখা হয়। ভোটকেন্দ্রে জড়ো হয়েছেন প্রচুর মানুষ।  ইভিএমে কারচুপির ভোটারদের বিক্ষোভের জেরে ভোটদান বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। প্রিসাইডিং অফিসার অবশ্য জানান, এই অভিযোগ সঠিক নয়।  ভোটাররা ভিভিপ্যাট দেখেছেন। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। ভোটারদের বিক্ষোভ যাতে অপ্রীতিকর কোনও পরিস্থিতির তৈরি না নয়, সেই জন্যই বাধ্য হয়ে ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। ভোট কেন্দ্রের ভেতরেই ছিলেন ভোটকর্মী ও রাজনৈতিক দলগুলির এজেন্টরা।


বিক্ষোভকারী ভোটাররা  দাবি জানান, এখানে এখনও পর্যন্ত যে ভোটদান হয়েছে, তা বাতিল করে ফের ভোটগ্রহণ করা হোক।বিক্ষোভের জেরে মাজনায় দুটি  বুথে ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ইভিএমে কারচুপি সম্ভব নয়। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর মাজনায় ভোটগ্রহণ ফের হয়।