কলকাতা: ভোটের প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেছেন, বাংলার মানুষ মমতাকে চাইছে না। অমিত শাহ ২০০ আসন জেতার কথা বলেছেন। বিজেপি সেই লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙা পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন। কিন্তু এবার তৃণমূল সরকারের পতন নিশ্চিত।


এর আগে শীতলকুচির ঘটনায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, উনি পাপ করছেন, অন্যায় করছেন। মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। প্রচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মমতার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।


দিলীপ ঘোষ বলেছেন, যেমন ভেবেছিলাম তেমনটাই হয়েছে চতুর্থ দফার নির্বাচন।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ওনার কথা না শুনলেই সে বিজেপি হয়ে যাবে। পুলিশও এখন বিজেপি হয়ে গেছে। 


উল্লেখ্য, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্যায়ের ভোট চলাকালে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভার একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল এই ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেছে। পাল্টা বিজেপি এই ঘটনার জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিমূলক মন্তব্যকে দায়ী করেছে। গতকাল রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন।


গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই নির্বাচন কমিশন কোচবিহারে রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রতিনিধিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে আটকাতেই কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। পাল্টা বিজেপি দাবি করেছিল, কমিশনে যাদের আস্থা নেই, তাদের তো গণতন্ত্রেই আস্থা নেই। 


এদিন শিলিগুড়ি থেকেই ভিডিও কলে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় সাহায্য ও পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।