কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, নন্দীগ্রাম: জীবনের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা। তবে, সকাল থেকেই আত্মবিশ্বাসী দেখালো পরীক্ষার্থীকে। সকাল থেকেই চড়কির মতো, নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত, ছুটে বেড়ালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এমনিতে সকালে ঘুম থেকে ওঠা অভ্যাস। তবে এদিন যেন বড্ড তাড়াতাড়ি ঘুম ভেঙে গেছিল।
সকাল ৭টার মধ্যেই নন্দীগ্রামে ঢুকে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। সাড়ে ৭টায় নন্দনায়ক বাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। বুথটির রাস্তা বেশ সংকীর্ন। গাড়ি ঢোকে না। তাই একজনের বাইকের পিছনে বসে ভোট দিতে যান প্রথমবার নন্দীগ্রামের ভোটার শুভেন্দু। এরপর নন্দীগ্রামে নিজের সহায়তা কেন্দ্রে যান তিনি। সেখান থেকে সাময়িক নজরদারি চালান।
সকাল সোয়া ৯ টা নাগাদ,ফের বেরিয়ে পড়েন শুভেন্দু। যেখানেই সমস্যার কথা শুনতে পান, দৌড়ে যান। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন। সমস্যার কথা জানতে চান। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘জানলা খুলে রেখেছিল। লাগিয়ে দিয়ে এসেছি। ৬০ পার্সেন্ট ভোট পড়ে গেছে। এতো রেভোলিউশন। ৮৫ শতাংশ ভোট হবে চেঞ্জের পক্ষে।’’
এরইমধ্যে, সাতেঙ্গাবাড়ির কাছে রানিচক রোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে, শুভেন্দু পৌঁছতেই, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া হয়। শুভেন্দুর গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট ছোঁড়া হয়। আক্রান্ত হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘‘মহেশপুর হয়ে নন্দীগ্রাম ফেরার কথা ছিল। অমুক স্কুলে অশান্তির খবর পেয়ে যাই। রোশন কাজাহার করেছে। জয় বাংলা বলেছে। আমার সঙ্গে এরকমই করে। মমতার সব দুধেল গাই। কোনও সিটে জিতবে না। সুপিয়ান মডেল।’’
শুভেন্দুর অভিযোগ, ৭০-৮০টা বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি তৃণমূল। শুভেন্দু অধিকারী জানান, ‘‘তৃণমূল তো ৭০-৮০টা বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি। লোকই তো নেই। যে বুথে ধমকাচ্ছে, সেখানে যাব।’’ তাত্পর্যপূর্ণভাবে, এতগুলি বুথ ঘোরার পর, ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘বেগম হারছে। বিকাশ জিতছে। জমির সঙ্গে কঠিনভাবে যুক্ত আমি। গ্রামে পাড়ায় লোকজন আছে। মানুষকে বিশ্বাস শব্দটা খুব বড়। যেটা নন্দীগ্রামে জনগণের সঙ্গে আমার আছে। ২০ বছরের সম্পর্ক। আমার প্রার্থীকে ঢুকতে সকালে বাধা দিচ্ছিল। পরে ঠিক হয়ে যায়। পিসফুল ভোট।’’
জওয়ানদের ভূমিকাকে প্রশংসা করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ-সিআরপিএফ ওয়ার্কস ভেরি ফাইন। সুস্থ ভোট হচ্ছে৷’’ শুভেন্দুর আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন ভোটবাক্সে কতটা পড়ল, জানা যাবে দোসরা মে।