কলকাতা: ‘পাঁচ দফার ভোটে ১৮০-টির মধ্যে ১২৫-টিরও বেশি আসন জিতব। খেলা হবে বলে যারা শুরু করেছিল, তারা এখন খেলা ছেড়ে চলে গিয়েছে’। রাজ্যে পঞ্চম দফা ভোটের পর তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
তিনি বলেছেন, ;একেবারে হিসাব করে ২০০ সিট পাচ্ছে বিজেপি। যেমন চাইছি, তেমনই নির্বাচন হচ্ছে। ওরা নির্বাচন ছেড়ে দিতে চাইছে। বলছে, একসঙ্গে ভোট করে দাও, আমরা সভা করব না। আসলে মিটিং করতে গেলে খরচা আছে। বক্তা লাগবে, নেতা লাগবে। কেউ বেরোচ্ছে না। তাই এখন বলছে, সব গুটিয়ে দাও। রেজাল্ট হয়ে গেছে ম্যাচের। কিন্তু ম্যাচের সময় তো পুরো করতে হবে। সেটা আমরা করে দেব।
তিনি আরও বলেছেন, বুথের নিরাপত্তা দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। সেই দায়িত্ব তারা ভালোভাবেই পালন করছে। বাইরের নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। কিন্তু এতদিন সমাজবিরোধীদের সঙ্গে ওঠাবসা করায় দুষ্কৃতী নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হচ্ছে পুলিশের। বিজেপি ক্ষমতায় এলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহলে ভোটের দফা কমানোর দাবি উঠেছে। যদিও কমিশন সেই দাবিতে সায় দেয়নি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেষ তিন দফার ভোট এক বা দু দফায় করানোর দাবি জানিয়েছিলেন। দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের সেই দাবিকেই কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, হেরে গিয়েছে বুঝতে পেরে বিজেপি-র বিরোধীরা নির্বাচন ছেড়ে পালিয়ে যেতে চাইছে।
রাজ্যের প্রথম দফার নির্বাচন শেষে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, প্রথম দফার ৩০ আসনের মধ্যে ২৬ টিতে জিতবে। দ্বিতীয় দফার ভোটের পর তিনি বলেছিলেন, দুটি দফার ভোটে বিজেপি ৫০ আসন পাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকালও দাবি করেছেন, চার দফার মতদান, টিএমসি হল খান খান। তিনি দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে যে নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছেন।
যদিও তৃণমূল বিজেপির এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে।