দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে হিন্দুত্বের ইস্যুর পাশাপাশি উন্নয়নের প্রশ্নেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে একহাত নিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আদিত্যনাথ  বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে আদৌ আগ্রহী নন। মমতা শুধু গুণ্ডা ও তোলাবাজদের প্রশ্রয় দিতেই আগ্রহী।  আদিত্যনাথের দাবি, রাজ্যে তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। ৩৫ দিন পর রাজ্যে গঠিত হবে বিজেপি সরকার এবং উন্নয়ন ও অগ্রগতির নব পর্বের সূচনা হবে।


উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ একটা সময় ভারতের সবচেয়ে সম্বৃদ্ধ ও এগিয়ে থাকা রাজ্য ছিল। কিন্তু প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বামফ্রন্ট এবং এরপর তৃণমূলের আমলে রাজ্যের শিল্পের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মসংস্থান নিয়ে তরুণ প্রজন্মের সামনে এখন কোনও দিশাই নেই। 


আদিত্যনাথের দাবি, তৃণমূলের আমলে শুধু দুর্নীতি ও গুণ্ডাবাহিনীরই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে।


ঘূর্ণিঝড় আমফান-দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও আদিত্যনাথ এনেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আদিত্যনাথ বলেছেন, আমফানের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্যকে ১ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকা প্রাপকদের হাতে পৌঁছয়নি। টাকা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে।


আদিত্যনাথের দাবি, তাঁর রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, উজ্জ্বলা প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত ও কিষাণ সম্মান নিধি-র মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুফল পেয়েছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আদিত্যনাথ বলেছেন, এটাই প্রমাণ করে তৃণমূলের রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে মাথাব্যথা নেই।  


হিন্দুত্ব ইস্যুতেও শান দিয়েছেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন গেরুয়া রং দেখেও ঘাবড়ে যাচ্ছেন। শ্রী চৈতন্য ও স্বামী বিবেকানন্দর উল্লেখ করে গেরুয়া বলেছেন, গেরুয়া ভারতের ঐতিহ্যের প্রতীক।


জয় শ্রী রাম স্লোগান নিয়ে আপত্তি নিয়েও মমতাকে নিশানা করেছেন আদিত্যনাথ। তিনি বলেছেন, ভগবান রামের জয়গান করতে বাধা দিলে মানুষ বিজেপিকেই জেতাবে। তাঁর দাবি, উত্তরপ্রদেশে আগে যে দল সরকারে ছিল, তারা জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে আপত্তি করেছিল। ভোটে জনগন ওই দলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।