শান্তিপুর : শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন,  শীতলকুচিকাণ্ডে তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ জনের মৃত্যু নিয়ে সরব হলেও, আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন না কেন? প্রশ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর।


এদিন রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেছেন,  ‘চতুর্থ দফার ভোটে দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। বুথে অজ্ঞাত পরিচয় লোক হামলা চালিয়েছে। সিআরপিএফের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বাধ্য হয়ে গুলি চালানোয় মৃত্যু হয়েছে।ঘটনা নিয়ে রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে।’


অমিত শাহ বলেছেন , ‘সকালে ওই বুথেই আনন্দ বর্মনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করেননি মমতা। কারণ, আনন্দ বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের, তিনি মমতার ভোট ব্যাঙ্ক নয়’।


অমিত শাহর দাবি, শোকপ্রকাশেও বিভেদ, তোষণের রাজনীতি করছেন মমতা। বাহিনীকে ঘেরাওয়ের উস্কানি দিয়েছেন মমতা। উস্কানি না দিলে এমন ঘটনা ঘটত না।’


তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় অমিত শাহর মন্তব্যের নিন্দা করেছেন।  তিনি বলেছেন, তৃণমূল ভোটের দিন আনন্দ বর্মন সহ পাঁচজনের মৃত্যুতেই শোকপ্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন, অমিত শাহ মিথ্যে কথা বলছেন। বিভাজনমূলক কথাবার্তা বলছেন। তৃণমূল সাংদ বলেছেন, তিনি আরও একবার অমিত শাহর ইস্তফা দাবি করছেন।


উল্লেখ্য, গতকাল রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্যায়ের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোচবিহারের শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। এর আগে শীতলকুচিরই একটি বুথে ভোটের লাইনে গুলি চলায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছিল। সবমিলিয়ে শীতলকুচিতে পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শীতলকুচির ঘটনা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালনায় মৃত্যুর ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সরাসরি এই ঘটনায় অমিত শাহর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। পাল্টা রাজ্যে ভোটের প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনাকে তৃণমূল নেত্রীর উস্কানির ফল বলে অভিযোগ করেছিলেন।