বহরমপুর : বিধানসভা নির্বাচনেও পঞ্চায়েত ভোটের ছক নিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় তা বানচাল হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 


তিনি বলেন, "মুর্শিদাবাদে অষ্টম তথা শেষ পর্যায়ের নির্বাচনে তৃণমূল ও প্রশাসনের একটা অংশ অসাধু আঁতাত করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি করার স্বপ্ন দেখেছিল। তৃণমূলের হার্মাদরা ওপেন বলেওছিল, আমরা পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি করব। বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয়বাহিনী ও নির্বাচন কমিশন মুর্শিদাবাদ জেলার এই ভোটে অত্যন্ত তৎপর। আমরা যখন যেভাবে তাদের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত তারা তৎপরতা দেখিয়েছে। এখন পর্যন্ত মুর্শিদাবাদে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করাতে পারছে। তবে গ্রামের অভ্যন্তরে ভয়-ভীতি প্রদর্শন চলছে। সেখানে পুলিশ প্রশাসন নির্বাক থাকবে আমি জানি। কিন্তু, মানুষ ভোট দিতে এসে বুথ দখল বা অন্য রকমের সন্ত্রাস যা সাধারণত হয়ে থাকে। এবার কিন্তু সেরকম কোনও সন্ত্রাস দেখতি পাচ্ছি না।"


প্রসঙ্গত, আজ অষ্টম ও শেষ দফায় মুর্শিদাবাদের ১১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তালিকায় রয়েছে- খড়গ্রাম, বড়ঞাঁ, কান্দি, ভরতপুর, রেজিনগর, বেলডাঙা, বহরমপুর, হরিহরপাড়া, নওদা, ডোমকল এবং জলঙ্গি। এইসব কেন্দ্রের কিছু জায়গা থেকে অশান্তির খবর আসছে। যেমন- ডোমকলের আলিনগরের ২০১ ও ২০৪ নম্বর বুথে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে লোহার ফলা লাগানো পাঁচটি তির উদ্ধার করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।


ডোমকলে সিপিএম কর্মীকে গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত হন আরও দু’জন সিপিএম কর্মী। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটের আগের রাতে গ্রামে সভা করছিলেন তৃণমূল প্রার্থী জাফিকুল ইসলাম। বাধা দেওয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। তৃণমূল প্রার্থীর গাড়ি তিন সিপিএম কর্মীকে চাপা দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত আব্দুল কাদেরকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তবে খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন, এমনটাই দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।