কলকাতা : একদিকে বঙ্গের হাই-ভোল্টেজ ভোট মধ্য গগণে, অন্যদিকে রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এমন পরিস্থিতিতে অনন্য সিদ্ধান্ত নিল বাম দলগুলি। সিপিএমের পক্ষ থেকে বাকি চার দফার ভোটপ্রচারে আর কোনও বড় সভা, মিটিং, মিছিল না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনগণের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটপ্রচার ও সোশ্যাল মাধ্যমকেই তারা ভোটপ্রার্থনার মাধ্যম করতে চাইছেন।
বুধবার সন্ধেয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সাংবাদিক সম্মেলন করে বামেদের আর বড় কোনও জন-সমাবেশ পরের দফার ভোটগুলোর আগে না করার সিদ্ধান্ত জানান মহম্মদ সেলিম। পরে সিপিএমের পক্ষ থেকে তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হয় যে সিদ্ধান্তে কথা।
এমনিতেই রাজ্যে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা সংক্রমণ। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতেরর পক্ষ থেকে জারি করা বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে কোভিডের সংক্রমণে পড়েছেন ৫ হাজার ৮৯২ জন। প্রাণ গিয়েছে ২৪ জনের। রাজ্যে রোজ প্রবলভাবে বেড় চলা করোনা সংক্রমণের জন্য অনেকেই দায়ী করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে।
ভোটের মাঝে যেভাবে প্রায় প্রত্যেকটি দল নূন্যতম করোনাবিধি তোয়াক্কা না করে মিটিং, মিছিল, জন সমাবেশ করছে তাতে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা সব মহলে। কারণ, বড় জন সমাবেশগুলিতে শারীরিক দূরত্ব রক্ষা করার কোনও বালাই থাকছে না। অধিকাংশই মিটিং-মিছিলে যোগ দিচ্ছেন মুখে মাস্ক পর্যন্ত না লাগিয়ে।
এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে সতর্ক করার বার্তা নির্বাচন কমিশনের কাছে দিয়ে রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। মহামান্য আদালতের নির্দেশ পেয়েই কমিশনও বাড়তি সতর্ক হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে। করোনা নিয়মনীতি যাতে আরও কঠোরভাবে পালন করা হয় সে বিষয়ে তারা নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন মহলে।ট
শুক্রবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বদল বৈঠকও ডেকেছে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে কী উঠে আসে সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
সেই বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বামেদের বড় জন সমাবেশ এড়ানোর সিদ্ধান্ত অবশ্য প্রশংসা কুড়িয়েছে নেটমহলে। তবে জনসমাবেশ না করার সিদ্ধান্তে তাদের ভোটবাক্সে কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সে উত্তর মিলবে ২ মে।