ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: কাঁথির মারিশদায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ ঘিরে রাজনীতি। মঙ্গলবার নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি। একই দাবি বামফ্রন্টেরও। আর এই দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করল বামফ্রন্ট। ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


নিহতের রাজনৈতিক পরিচয় কী? বিজেপি না বাম সমর্থক? আর একটা মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে এই প্রশ্নেই এখন সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির মারিশদা। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বছর ৪২-এর জন্মেঞ্জয় দলুইকে ৷ স্থানীয় সূত্রে দাবি, ওই ব্যক্তি আগে বাম সমর্থক ছিলেন, কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে তাঁকে বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা যেত৷ নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে মঙ্গলবার থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বুধবার আসরে নামে বামেরা। নিহতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করে মারিশদায় থানায় অভিযোগ জানায় তারা। মারিশদার সিপিআই নেতা কালীপদ সিট বলেন, ‘‘আমাদের দীর্ঘদিনের সক্রিয় কর্মী, তৃণমূলের লোকজন তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর, আমরা এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করছি, দোষীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি ৷’’


বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি আগে বামফ্রন্ট করতেন, ওই দল থেকে আমাদের অনেক কর্মী এসেছেন, বামফ্রন্টের দাবি ভুল, উনি আমাদের কর্মী ৷’’ পাল্টা তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই খুন হয়েছেন জন্মেঞ্জয়। উত্তর কাঁথি তৃণমীল প্রার্থী তরুণ জানা জানান, ‘‘আমাদের মনে হয়, এটা বিজেপির আদি বনাম নব্যের লড়াই, তার জন্য এই ঘটনা।” খুনের মামলায় এখনও অবধি তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


একুশের মহারণ বিধানসভা নির্বাচনে ফের এক মৃত্যুর ঘটনা। এদিকে ভোটের মুখে হুগলির খানাকুলে তৃণমূলের বুথ সভাপতির রহস্যমৃত্যু। নদী থেকে উদ্ধার মৃতদেহ। আর ভোটের মুখে তৃণমূল নেতার মৃত্যু ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপিকে নিশানা করে শাসক দলের দাবি, খুন করা হয়েছে বুথ সভাপতিকে। যদিও এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির।